হোম > ছাপা সংস্করণ

নিম্নচাপের সৃষ্টি হলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকে বৈকি

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী

হঠাৎই ধর্মীয় মৌলবাদীরা দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের তপ্ত আবহাওয়াকে আরও তপ্ত করার কাজে বেশ তৎপর হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে নয়, সরাসরি পুলিশের চোখের ওপর আঘাত হেনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই জঙ্গিকে ছিনতাই করে পালিয়েছে। এতে পুলিশের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, ওঠাটা অস্বাভাবিক নয়। এ ঘটনা জঙ্গি মৌলবাদী তৎপরতার ইঙ্গিত কি না, নিকট ভবিষ্যৎই তা বলে দেবে।

মৌলবাদীরা আগে এবং পরেও আওয়াজ তুলেছে ভাস্কর্য ভাঙতে হবে। ভাস্কর্যকে তারা মূর্তি বলে ফতোয়া জারি করেছে। বলছে, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন হতে দেওয়া হবে না এবং দেয়ওনি। আগামী দিনে বলবে এ দেশে কোনো ভাস্কর্যই থাকবে না। করোনার আক্রমণ বর্তমান সভ্যতার বস্তুবাদী পরিচয়টাকে সবার সামনে তুলে ধরেছে। রোগ প্রতিরোধে ধর্ম কোনো কাজে লাগেনি। রোগ ঈশ্বরের ইচ্ছা-অনিচ্ছার মোটেই তোয়াক্কা করল না। প্রার্থনায়ও কাজ হয়নি। করোনার ভয়ে উপাসনালয়ে তালা ঝোলানো হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ইউরোপের একজন ধর্মযাজক প্রাণত্যাগ করেছেন, তাঁর অন্ত্যেষ্টি অনুষ্ঠানে অপর একজন বড় মাপের ধর্মযাজক স্বাস্থ্যবিধি অবহেলা করে অংশ নিতে গিয়ে বলেছিলেন, ‘আমার আছে ঈশ্বরের টিকা’; কিন্তু সেই টিকাতে কাজ হয়নি। তিনি মারা গেছেন। করোনাকে ঈশ্বরের অভিশাপ হিসেবে দাঁড় করানো গেলে ধর্মব্যবসায়ীরা উৎফুল্ল হতেন, কিন্তু করোনা তাঁদের সাহায্য করল না।

তবে আমাদের দেশের ধর্মব্যবসায়ীরা মোটেই দমে যাননি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য পর্যন্ত স্থাপন করতে দেননি। প্রয়োজনে আগুন জ্বালাবেন, এমনটাই ভাবভঙ্গি। মানুষ এখন বিপন্ন, রোগ-শোক-অভাব-বিপদের আগুনে তারা বিপর্যস্ত, ঠিক সেই সময়েই তারা চাইছেন কৃত্রিম ইস্যু জাগিয়ে তুলে মানুষকে তার বাঁচার সমস্যা নিয়ে ইহজাগতিক আন্দোলন থেকে সরিয়ে রাখতে। কেন করছেন এ কাজ? কার স্বার্থে? অবশ্যই সেই সব বঞ্চিত মানুষের স্বার্থে নয়, যাদের তাঁরা খেপিয়ে তুলে রাস্তায় নামাতে চান, জ্বালাতে চান আগুন, ঠেলে দিতে চান বিপদের মুখে। তাঁরা চাইবেন মানুষ উন্মত্ত হোক, ঠিক যেভাবে লালমনিরহাটের ওই মানুষগুলো হয়েছিল, যখন তারা একটি নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে পিটিয়ে মারা ও পুড়িয়ে ফেলার ধ্বংসলীলায় উন্মত্ত হয়েছিল। মহোৎসাহে। মানুষের স্বার্থে নয়, ধর্মবণিকেরা মানুষকে খেপাচ্ছেন নিজেদের স্বার্থে। স্বার্থটা হলো ক্ষমতা বৃদ্ধির। ক্ষমতা বাড়লে সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। ইতিমধ্যে সুযোগ-সুবিধা নিতান্ত কম বাড়েনি। হেফাজতে ইসলামের একাংশ নানাবিধ বৈষয়িক সুযোগ পেয়ে গেছে। কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা সনদকে সাধারণ শিক্ষা সনদের তুল্য-মূল্য করে দেওয়া হয়েছে। তাদের আজগুবি দাবি মোতাবেক সাধারণ শিক্ষার বাংলা পাঠ্যবইয়ে পরিবর্তন আনা হয়েছে। হেফাজতের অপরাংশ তাতে সন্তুষ্ট নয়। সুবিধাগুলো তারা ধরতে পারেনি। তারা এখন সুযোগ চায়। ক্ষমতা চায়। জনসমর্থন দেখিয়ে রাষ্ট্রক্ষমতার অংশ পাওয়া যায় কি না, সেই ভাবনায় আছে। জামায়াতে ইসলামী পারলে তারা পারবে না কেন? তবে জামায়াতের তুলনাতেও তাদের দাবি-দাওয়া অধিক ‘মৌলিক’, অধিকতর ‘বৈপ্লবিক’। তাদের আকাঙ্ক্ষা রাষ্ট্রের ইহজাগতিক চরিত্রটাই পাল্টে দেওয়ার। ইরাকে ইসলামিক স্টেট (আইএস) যে কাণ্ড ঘটিয়েছে, বাংলাদেশে মৌলবাদীরাও তেমন কিছু ঘটানোর ইচ্ছা যে রাখেন না, তা নয়।

আইএসের পেছনে মার্কিনদের মদদ ছিল; সেই মদদ তারাও পাবে—এমন আশা দুরাশা নয়। মার্কিনরা কম ধূর্ত নয়, নিজেরা তারা মুসলমানদের বিরুদ্ধে ক্রুসেড করে আবার জিহাদিদেরও উত্তেজিত করে তোলে ‘অধার্মিক’দের বিরুদ্ধে লাগতে। জামায়াত নিজেকে বলত রাজনৈতিক দল; নির্বাচনে দাঁড়াত, জনগণের ইহজাগতিক সমস্যা পূরণের দাবিও তুলত; কিন্তু তারা বলছে, তারা রাজনৈতিক দল নয়, তারা আন্দোলন। কাজেই জনগণের জানমাল বাঁচানোর সমস্যা তাদের বিবেচনা নয়, বিবেচনা অপার্থিব সমস্যাগুলোর সমাধান করা। যেমন ভাস্কর্য জায়েজ কি নাজায়েজ, সেই প্রশ্নের মীমাংসা।

ব্রিটিশ আমলে যেমন প্রশ্ন তোলা হয়েছিল টাকার নোটে যেহেতু ছবি থাকে, তাই পকেটে টাকা নিয়ে নামাজ পড়া জায়েজ কি নাজায়েজ, মস্ত বড় এই সমস্যাটা নিয়ে। বঞ্চিত মানুষের সন্তানেরাই মাদ্রাসায় পড়ে, পারলে তারা সাধারণ শিক্ষাই নিত, পারে না বলেই মাদ্রাসায় যায়। বঞ্চিতরা মাদ্রাসা শিক্ষালাভ শেষে বঞ্চিতই রয়ে যায়।

এই বঞ্চিতদের খেপিয়ে তোলা কঠিন নয়, উপযুক্ত আওয়াজেরই শুধু অপেক্ষা; লালমনিরহাটের ঘাতকেরা যে আওয়াজটা দিতে পেরেছিল এবং দিয়ে সক্ষম হয়েছিল জীবন্ত মানুষকে হত্যা ও দগ্ধ করতে।

আর কেবল মাদ্রাসা-শিক্ষিতরাই তো নয়, দেশের অধিকাংশ মানুষই আজ সুযোগবঞ্চিত। তারা ক্ষুব্ধ। তারা তপ্ত হয়ে উঠছে। সেই ক্ষোভ ও তাপ বেরোনোর পথ চায়। স্বাভাবিক পথগুলো সবই এখন অবরুদ্ধ। দেশে এখন কার্যকর কোনো বিরোধী দল নেই। সংসদে নেই, রাজপথেও নেই। বিরোধী দলের লোকেরা বলেন, প্রতিবাদ করবেন কি, রাস্তাতেই তো দাঁড়াতে পারেন না, পুলিশ এসে পিটিয়ে তুলে দেয়। ঘরেও নিরাপত্তা নেই, মামলা ঠুকে দেয়, আদালতে আদালতে ছোটাছুটি করতে হয়। তাঁদের অভিযোগ মিথ্যা হলে ভালো হতো; কিন্তু মিথ্যা যে নয়, সেটা সবাই জানে।

জনগণের ক্ষোভ ও তাপ তাই প্রকাশের বৈধ পথ দেখতে পাচ্ছে না; ধর্মকে ব্যবহার করে যাঁরা রাজনৈতিক ব্যবসা করতে চাইছেন, মানুষের চাপা ক্রোধ তাঁদের জন্য একটা বড় ভরসা। তাঁদের এই ব্যবসায় কোনো পুঁজি লাগে না, উল্টো দ্রুতই পুঁজি এসে যায় হাতে। আর দেশের জন্য বড় রকমের একটা আশঙ্কা ওখানেই। বঞ্চিত মানুষের রাগটা যদি ধর্মব্যবসায়ীদের তৈরি উত্তেজনার সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়, সরকারের পক্ষে তাহলে পরিস্থিতি সামলানো যে সহজ হবে না—এটা অতি সহজেই বলে দেওয়া যায়। সরকারি সূত্রমতেই তো জানা যাচ্ছে, জঙ্গি তৎপরতা বাড়ছে। হিযবুত তাহরীর ও জেএমবির সদস্যরা দল পাকাচ্ছে ও ধরা পড়ছে। তারা যে মাদ্রাসাকেন্দ্রিক ধর্মব্যবসায়ীদের সঙ্গে যুক্ত হবে না, এমনটা ভাবার কোনো কারণ নেই। জামায়াতের কর্মীরা এখন কিছুটা কোণঠাসা দশায় আছে; তাঁরাও নিশ্চয়ই বসে থাকবেন না।

বসে থাকতে থাকতে তাঁদের কোমরেও ব্যথা ধরে যাওয়ার কথা। ধর্মকে পুঁজি করে সবাই এককাট্টা হবেন। ওদিকে সমাজে কেবল ক্ষোভ নয়, হতাশাও বাড়ছে। অধিকাংশ মানুষ ভরসা করার মতো কোনো অবলম্বন পাচ্ছে না। এমন অবস্থায় এটাই স্বাভাবিক যে অনেকেই অবসন্ন হয়ে পড়বে; কাউকে কাউকে নেশায় ধরবে এবং কেউ যাবে ধর্মের কাছে, যেটা সবচেয়ে সহজ পথ। ধর্মের ওপর আস্থাকে কেবল অবলম্বন নয়, ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবেই দেখবে তারা। ধর্মব্যবসায়ীরা এই অবস্থাটাকে কাজে লাগাতে পারবেন। অপরদিকে ইহজাগতিকতার পক্ষে যাঁরা, তাঁরা তো কোনো ভরসা দিতে পারছেন না।

ধর্মকে যে রাজনীতি থেকে আলাদা করা চাই—এই প্রাথমিক কথাটাও জোর দিয়ে বলার মতো মনের জোর তাঁরা রাখেন না। বলেন, অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র চাই। সেটা বললে এই রাষ্ট্রের ভিত্তিভূমিকেই দুর্বল করে দেওয়া হয়। কারণ, বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাই ঘটেছে ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদের ভিত্তিতে। বাংলাদেশে ব্যবসায়ীদের পোয়াবারো, ধর্মব্যবসায়ীরাও দেখছেন পরিবেশ তাঁদের অনুকূলে।তাঁরা আওয়াজ দেবেন সুবিধামতো, প্রয়োজনে নতুন নতুন আওয়াজ খুঁজে বের করবেন। 

ভাস্কর্যের ব্যাপারে আপত্তিটা মনে হয় পরীক্ষামূলক। বাজিয়ে দেখছেন, কতটা সাড়া পাওয়া যায়। এতে কাজ না হলে আরেকটা ধরবেন। ভাস্কর্য জিনিসটা যে শিল্পকলার অন্তর্গত এবং পৃথিবীর সব দেশেই, এমনকি মুসলমানপ্রধান দেশগুলোতেও যে প্রচুর ভাস্কর্য শোভা পাচ্ছে, পাকিস্তানেও যে ভাস্কর্যের অভাব নেই, এসব কথা তাঁরা কানে নেবেন না, করোনাভাইরাসের তুলনায় তাঁরা কম নিষ্ঠুর নন এবং করোনার মতোই তাঁদেরও লক্ষ্য মানুষকে তার আদিম বর্বরতায় ঠেলে নিয়ে যাওয়া, যেখানে বকধার্মিক সেজে তাঁরা মানুষকে শাসন করতে পারবেন, করোনা যেমন শাসন করেছে সারা পৃথিবীকে।

সন্দেহ নেই যে তাঁদের লাই দেওয়া হয়েছে। লাই দিয়ো না চড়বে মাথায়, এ রকম কথা আমরা বাল্যশিক্ষার বইয়ে পড়েছি। তাঁরা মাথায় চড়তে পারবেন বলে মনে করি না, তবে কাঁধে যে উঠতে চাইছেন, তাতে সন্দেহ কী। নানা রকমের ছাড় ইতিমধ্যেই দেওয়া হয়েছে, এমনকি ভাস্কর্য সরিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ঘটে গেছে। যে ব্যক্তিটি ভাস্কর্য চলবে না বলে শোর তুলছেন তিনি দেখলাম খেলাফত মজলিসের একজন বড় নেতা; আবার হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটিতেও আছেন গুরুত্বপূর্ণ পদেই, নাকি যুগ্ম মহাসম্পাদকই। খেলাফত ও হেফাজত একত্র হচ্ছে। খেলাফতের সুনির্দিষ্ট সমর্থক-গোষ্ঠী নেই, হেফাজতের যেটা আছে, মাদ্রাসায় শিক্ষিতজনেরা যে হেফাজতের সঙ্গে গা মেলাবে, এটা সাংগঠনিকভাবেই প্রমাণিত সত্য। তাদের সংখ্যা লাখ লাখ। খেলাফত মজলিস যখন অনেকটা একাকী ছিল, তখনই কিন্তু আওয়ামী লীগ তাদের সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিল। ভোটের আশায়। ২০০৬ সালের ২৩ ডিসেম্বরের ঘটনা। সেদিন স্বাক্ষরিত হয় চার দফার একটি চুক্তি। চুক্তির প্রথম দফাটিতেই বলা হয়েছিল: ‘জাতীয় আইনের বাইরে ধর্মীয় আলেমেরা ফতোয়া দেওয়ার অধিকার পাবেন।’ দ্বিতীয়টিতে ছিল, ‘কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোনো আইন তৈরি করা যাবে না।’ তৃতীয়টি হলো, ‘কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃতি যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।’ আহমদিয়ারা মুসলমান হিসেবে পরিচয় দিতে পারবে না, এ কথা বলা হয়েছিল চতুর্থ দফায়। চুক্তি স্বাক্ষরের ঘটনাটির আকস্মিকতা ও অস্বাভাবিকতায় আওয়ামী-সমর্থক বুদ্ধিজীবী মহল অস্বস্তিতে পড়েছিলেন। কেউ কেউ প্রতিবাদও করেছেন। যেমন অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘খেলাফত মজলিসকে সঙ্গে নিয়ে আওয়ামী লীগ এমন এক মিত্র লাভ করেছে যে এরপর তার কোনো শত্রুর দরকার হবে না।’ কিন্তু শুনেছি নেতৃত্ব থেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, বুদ্ধিজীবীরা কী ভোট এনে দিতে পারবেন? এবং বুদ্ধিজীবীদের তখন নিরুত্তর হওয়া ছাড়া উপায় থাকেনি। এমনও মন্তব্য করা হয়েছিল বলে জানা যায়, বিএনপির এই সুবিধাটা আছে যে তাদের দলে কোনো বুদ্ধিজীবী নেই। পরবর্তীকালে আওয়ামী ঘরানার বুদ্ধিজীবীদের কেউ কেউ দেখেছি পত্রিকায় প্রবন্ধ লিখেই বলেছিলেন, প্রকৃত শত্রুকে না চিনলে বিপদ হবে। বুঝতে হবে যে বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বী অবশ্যই, কিন্তু সে শত্রু নয়, শত্রু হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। ধর্মব্যবসায়ী ওই দলটি তখন বেশ শক্তিশালী ছিল। কিন্তু বুদ্ধিজীবীদের পরামর্শ যে গৃহীত হয়েছে, এমন প্রমাণ নেই। তারা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি উভয়েরই শত্রু। প্রগতিশীলদের চরম শত্রু তো অবশ্যই। চরিত্রগতভাবেই তারা মানুষের অগ্রগতির প্রতিপক্ষ এবং পুঁজিবাদের ছদ্মবেশী সংরক্ষক। নিম্নচাপের সৃষ্টি হলে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা থাকে বৈকি।

লেখক: ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ