জীবাশ্ম জ্বালানি বা কয়লার মতো প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য প্রায় সমান ক্ষতিকর। কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ তৈরির মতো প্লাস্টিক পণ্য তৈরিতেও ব্যাপক কার্বন বা বিভিন্ন ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ হয়। প্লাস্টিকজাত বিষাক্ত গ্যাসের পরিমাণ ২০৩০ সালের মধ্যে কয়লাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেনিংটন কলেজ ও ‘বিয়ন্ড প্লাস্টিকস’ নামের একটি এনজিও গত বৃহস্পতিবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে বলা হয়, প্রতিবছর ২৩ কোটি ২০ লাখ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করে প্লাস্টিকসংশ্লিষ্ট কারখানাগুলো, যা ১১৬টি কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের সমান। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে প্লাস্টিকসংশ্লিষ্ট কারখানা থেকে নির্গত গ্রিনহাউস গ্যাসের পরিমাণ কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্পের গ্রিনহাউস গ্যাসকে ছাড়িয়ে যাবে। ফলে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নেওয়া পদক্ষেপ অর্থহীন হয়ে পড়তে পারে।
কিন্তু প্রকাশিত প্রতিবেদনকে চ্যালেঞ্জ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্লাস্টিকস ইন্ডাস্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র জর্জ ও’কনর। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, এসব বাছাই করা বা নির্বাচিত তথ্য দিয়ে প্লাস্টিকের ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে সিদ্ধান্ত টানা ভুল হবে।
তবে প্রতিবেদনটি বাছাই করা বা মন গড়া তথ্য নয়, বরং যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্ট প্রোটেকশন এজেন্সি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের ভিত্তিতে করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বেনিংটন কলেজ ও বিয়ন্ড প্লাস্টিকস।