ছয় বছর আগের কথা। জাগো এফএম থেকে তানভীর তারেককে বলা হলো একটা অনুষ্ঠান নির্মাণের জন্য। তানভীর বললেন, ‘এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের সময়। একই সঙ্গে দেখা ও শোনার ব্যবস্থা থাকতে হবে।’ সেভাবেই আয়োজন সাজানো হলো। শুরু হলো সাংবাদিক, সুরকার ও উপস্থাপক তানভীর তারেকের গ্রন্থনা ও উপস্থাপনায় ‘রাতাড্ডা উইথ তানভীর’। ছয় বছর ধরে দর্শক এই অনুষ্ঠানটি একই সঙ্গে দেখছেন ও শুনছেন। এই ছয় বছরে প্রচার হয়েছে অনুষ্ঠানের তিন শতাধিক পর্ব। এসব অনুষ্ঠানে শোবিজ জগতের গুণীজনদের নিয়ে আড্ডা দিয়েছেন তানভীর।
অনুষ্ঠানটি নিয়ে তানভীর তারেক বলেন, ‘রাতাড্ডা দিয়েই কোনো রেডিও শোর একই সঙ্গে ফেসবুক পেজ লাইভ শুরু হয়। সাধারণত একটা অনুষ্ঠান ৪০ থেকে ৫০ মিনিটে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু এই অনুষ্ঠানটির দৈর্ঘ্য দুই ঘণ্টা। রাতাড্ডা এখন একটা বড় কালচারাল আর্কাইভে পরিণত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে আমরা এমন অনেক গুণীজনকে আনতে পেরেছি, যাঁদের কোনো টিভি ইন্টারভিউ নেই, যাঁদের নিয়ে তেমন কোনো ডকুমেন্টেশন নেই। সবার জানা-অজানা তথ্য, বিভিন্ন বিষয়ে তাঁদের মতামত বা পরামর্শ—সব মিলিয়ে রাতাড্ডার আর্কাইভটি এখন তথ্যভান্ডারে সমৃদ্ধ।’
উপস্থাপনায় ১৭ বছরের ক্যারিয়ার তানভীর তারেকের। হানিফ সংকেতের সহযোগিতায় এটিএন বাংলার ‘টক চার্ট’ অনুষ্ঠান দিয়ে তাঁর শুরু। এরপর একুশে টিভির ‘মিডিয়া গসিপ’-এর গ্রন্থনা ও উপস্থাপনা করেছেন ৮ বছর। এ ছাড়া, এটিএন নিউজের ‘লাভ বক্স’, চ্যানেল আইয়ের ‘কথা প্রসঙ্গে’, রেডিও টুডের ‘গ্রিনরুম’, এশিয়ান টিভির ‘সেলিব্রিটি লাউঞ্জ’, ‘প্রতিদিনের বিনোদন’সহ অনেক অনুষ্ঠানেই উপস্থাপকের আসনে বসেছেন তানভীর। সুরকার হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘কোলাহল কমিউনিকেশন’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান। এখান থেকে মিউজিক অ্যাপসহ একাধিক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের জন্য অনুষ্ঠান নির্মাণ করছেন। উদ্যোগ নিচ্ছেন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ নানা আয়োজনের।