হাতের ব্যাগটা নিচে রেখে দোকানের শাটার খুলছিলেন ব্যবসায়ী আলম হোসেন। দুই থেকে তিন মিনিট পরই পেছনে ফিরে দেখেন তাঁর ব্যাগটি আর নেই। ব্যাগটিতে ছিল তিন লাখ টাকা। গত রোববার সকালে দিনদুপুরে দুর্গাপুর উপজেলার আলীপুর বাজার এ ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর সিসিটিভি ফুটেজ দেখে এক ব্যক্তিকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এখন সেই ব্যক্তিকে খুঁজছে তারা।
গতকাল সোমবার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিনয় কুমার ফেসবুকে ছবি পোস্ট দিয়ে ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।
দুর্গাপুর উপজেলায় সম্প্রতি বেড়েছে চোরের উপদ্রব। দিনদুপুরে চুরির ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে জনমনে। গবাদিপশু, মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল, স্বর্ণালংকার কোনো কিছুই বাদ পড়ছে না চুরি থেকে। সম্প্রতি দুর্গাপুর পৌর এলাকার এক বাসা থেকে ১৫ ভরি সোনার গয়না চুরি হয়। এ ছাড়া মোটরসাইকেল, গবাদিপশু ও মোবাইল ফোন চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ করলেও চুরি যাওয়া জিনিসপত্র উদ্ধার বা কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
গত ২০ জানুয়ারি দিনদুপুরে দুর্গাপুর পৌর এলাকার খোড়খাই গ্রামে আবুল কালাম আজাদ নান্নু নামের এক কলেজশিক্ষকের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটে। তিনি দুর্গাপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক। ফাঁকা বাড়ি পেয়ে ঘরের তালা ভেঙে ৭ ভরি সোনার গয়না ও ২ লাখ ১৬ হাজার টাকা নিয়ে গেছে চোর। এর আগের দিন ১৯ জানুয়ারি দিনদুপুরে পৌর এলাকার সিংগা গ্রামে আনোয়ারুল কবীর নামের এক স্কুলশিক্ষকের বাড়ি থেকে সাড়ে ৪ ভরি সোনা, ৯ ভরি রুপার অলংকার ও নগদ টাকা চুরি হয়।
দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিনয় কুমার বলেন, হঠাৎ তীব্র শীতে ছেঁচড়া চোরের উপদ্রব হয়েছে। আলীপুর বাজারে টাকার ব্যাগ চুরির ঘটনায় প্রাথমিকভাবে সিসি ফুটেজ দেখে একজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু তাঁর পরিচয় পাওয়া যায়নি। ওই ব্যক্তির পরিচয় জানতে সবার সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।