বরিশাল নগরের চৌমাথা বাজারে মঙ্গলবার সকালে গরুর মাংস প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৬৫০ টাকায়। রাতেই তা উঠেছে ৭০০ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, আজ ও কাল এই দর ৭০০-তেই থাকবে। একই অবস্থা খাসি আর মুরগির দামে। প্রকারভেদে মুরগি কেজিপ্রতি বেড়েছে ২০-৩০ টাকা। নগরের সব বাজারে এভাবে হঠাৎ করে মাংসের দাম বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা দাম বাড়ার জন্য কাল শবে বরাতের দোহাই দিলেও প্রকৃত অর্থে পশু কিংবা মুরগির দাম বাড়ার কোনো যুক্তিসংগত কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার ভোক্তা অধিকার দিবসে প্রশাসন বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতি দিলেও তা মাঠপর্যায়ে কার্যকর হচ্ছে না।
গত মঙ্গল ও বুধবার নগরের চৌমাথা, বটতলা, বড়বাজার, বাংলাবাজারে গরুর মাংস প্রতি কেজি ৬৫০-৭০০ টাকায় ওঠানামা করছে। খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ৯০০ টাকা।
চৌমাথা বাজারের ‘হাফিজ মিট হাউসে’র কর্মচারীরা জানান, শবে বরাতের কারণে গরুর পাইকারি দাম বেড়েছে। বৃহস্পতি ও শুক্রবার ৭০০ টাকার নিচে গরুর মাংস বিক্রির সুযোগ থাকবে না বলে জানান ওই বাজারের মাহবুব মিট হাউস ও সুমন মিট হাউসের কর্মচারীরাও। মাংস কিনতে আসা মো. শাজাহান বলেন, সকালে গরুর মাংস ছিল ৬৫০ টাকা, সন্ধ্যায় বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়।
বটতলা বাজার ঘুরে গরুর মাংস ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। একই অবস্থা পোর্ট রোড ও বাংলাবাজার কাশিপুর বাজারে।
বুধবার কাশিপুর, পোর্টরোড, বাংলাবাজার ঘুরে দেশি মুরগি পাওয়া যায়নি। তবে সোনালি মুরগি এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৩০ টাকা বেড়ে ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি চলছে। ব্রয়লার ১৬০ টাকার স্থলে ১৭০-১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানান চৌমাথা বাজারের টাচ পোলট্রি কর্নারের কর্মচারী।
কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশাল জেলা সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত বলেন, মঙ্গলবার ভোক্তা অধিকার দিবসে জেলা প্রশাসক পণ্য মজুত ও বাড়তি দাম না রাখার আহ্বান জানান ব্যবসায়ীদের। বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখা ও দাম নিয়ন্ত্রণের প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।