ইসলামে অনাহারীর মুখে খাবার তুলে দিতে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে। হতদরিদ্র মানুষের মুখে হাসি ফোটানো ইসলামের দৃষ্টিতে অত্যন্ত মহৎ কাজ। এর বিনিময়ে আল্লাহ জান্নাত পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। আর এ দায়িত্ব পালন না করলে শাস্তি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও কোরআনে এসেছে।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা জান্নাতি মানুষের গুণাবলি প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘তারা আল্লাহর ভালোবাসায় মিসকিন, এতিম ও বন্দীদের খাবার দান করে। এবং তাদের বলে, কেবল আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা তোমাদের খাদ্য দান করি এবং তোমাদের কাছে কোনো প্রতিদান ও কৃতজ্ঞতা আশা করি না।’ (সুরা দাহর: ৮-৯)
তিরমিজি শরিফে বর্ণিত এক হাদিসে এসেছে, আল্লাহ তাআলা নবীজিকে জিজ্ঞেস করলেন, ‘কোন কোন কাজের সওয়াব নিয়ে ফেরেশতারা বিশেষ আলোচনায় লিপ্ত হয়—তা আপনি জানেন?’ নবীজি বলেন, আমি বললাম, ‘মানুষকে খাদ্য দান করা, নরম ভাষায় কথা বলা এবং রাতের বেলায় যখন সবাই ঘুমায় তখন (বিশেষ নফল) নামাজে মগ্ন হওয়া।’ (তিরমিজি: ৩২২৫)
ফেরেশতাদের বিশেষ আলোচনার কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে আলেমগণ বিভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। কেউ কেউ বলেন, তারা এসব আমলের মর্যাদা ও প্রতিদান নিয়ে আলোচনা করেন। কেউ কেউ বলেন, তারা এসব আমলের কারণে নিজেদের ওপর মানুষের বিশেষ মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দেখে খানিক ঈর্ষাকাতর হয়ে পড়েন।
লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক