হোম > ছাপা সংস্করণ

টেক্সাসে শিশুহত্যা

সম্পাদকীয়

টেক্সাসে যে ঘটনা ঘটল, তাতে ক্লাস টু থেকে ফোরে পড়া ১৯ জন শিক্ষার্থী মারা গেছে। এ ছাড়াও ২ জন শিক্ষক মারা গেছেন। ১৮ বছর বয়সী সালভাদর রামোসকেও পুলিশ গুলি করে হত্যা করেছে, ফলে কেন হঠাৎ করে এই তরুণটি শিশুদের স্কুলে গিয়ে কাউবয় সাজার চেষ্টা করলেন, তা আর জানা যাবে না কখনো। খুনির মনস্তত্ত্ব বোঝার আর কোনো পথ খোলা রইল না। কোমলমতি শিশুরা স্কুলে গিয়ে কিছু বুঝে ওঠার আগেই হত্যার শিকার হয়ে একটি বিরাট প্রশ্নবোধক চিহ্নের মতো বিরাজ করবে আমাদের মনে।

মার্কিন দেশটায় কীভাবে সভ্যতা এল কিংবা যাকে আমরা সভ্যতা বলছি, তা আদৌ সভ্যতা কি না, তা নিয়ে বিতর্ক চলছে অনেক বছর ধরে। ভূখণ্ডের মূল অধিবাসীদের নৃশংসভাবে হত্যা করে যেভাবে নিজেদের সভ্য মানুষ বলে ঘোষণা করেছিল সাদা মানুষেরা, তারই পেটে এ ধরনের অরাজকতার বীজ লুকিয়ে আছে কি না, সেটা ভেবে দেখার অবকাশ আছে।

টেক্সাসের উভাল্ডে নামের ছোট্ট শহরটিতে যে কান্না উত্থিত হয়েছে, তা উদ্বিগ্ন করে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন মহলকে। প্রশ্ন উঠেছে, সাধারণ নাগরিকদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করা কতটা সমীচীন? শহরটি খুবই ছোট বলে প্রত্যেকেই প্রত্যেককে চেনে। হত্যাকাণ্ডের প্রথম শিকার এই স্কুলের শিক্ষক ইভা মায়ারলেসের ছবি যখন বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তখন তাঁর ও হত্যার শিকার অন্যদের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি এ রকম উন্মাদের মতো হত্যাকাণ্ডের কী মানে থাকতে পারে, তার ব্যাখ্যা খুঁজে পাচ্ছেন না কেউ।

এ কথা অস্বীকার করা যাবে না, যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক বিভাজন মানুষকে অসহিষ্ণু করে তুলছে। মার্কিনি গণতন্ত্রের যে সুনাম ছিল, তাতে চিড় ধরেছে। এখন পারস্পরিক সহনশীলতা, শ্রদ্ধাবোধ ইত্যাদির জায়গায় ক্ষমতায় টিকে থাকার সর্পিল পথকেই অনেক বেশি আপন করে নিয়েছে রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। সমাজের অভ্যন্তরে যে দ্বান্দ্বিক বিভাজনের প্রবণতা বেড়ে চলেছে, সেটা দেশটির যেকোনো স্তরের নাগরিককে প্রভাবিত করে চলেছে। এই তো কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরে সাবওয়ের ভেতরে বাংলাদেশের এক তরুণী হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। সেটাও একধরনের অসহিষ্ণুতার ফল হতে পারে। অসহিষ্ণুতা বেড়ে যাওয়া নিয়ে মার্কিনদের মধ্যে মাথাব্যথাও বাড়ছে।

যেকোনো মৃত্যুই বেদনাদায়ক। হত্যাকাণ্ড আরও বেশি বেদনাদায়ক। শিশুহত্যার বেদনা সহ্য করা কঠিন। এ ধরনের হত্যাকাণ্ড থেকে বেরিয়ে আসার জন্য মার্কিন সরকার অথবা তাদের সামাজিক সংগঠনগুলো কী পদক্ষেপ নেয়, সেটা দেখা দরকার। আমরা শুধু এই কথাই বলতে পারি, যে সভ্যতার বড়াই করা অহমিকার পর্যায়ে গিয়ে দাঁড়িয়েছিল, তার ভেতরের গলদগুলোর দিকে এখন চোখ রাখা দরকার, নইলে আর কত মায়ের বুক এভাবে খালি হবে তার হিসাব করা যাবে না।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ