একটা সময় বাড়ির দরজা ও জানালায় পর্দা ব্যবহার করা হতো মূলত প্রয়োজন হিসেবে। জানালার পর্দাগুলো হতো ছোট ছোট, মানে যেটুকু আড়াল না রাখলে চলে না। একরঙা সাদা বা অন্য রঙের সুতি পর্দার পাশাপাশি ফুলের ছাপওয়ালা পর্দাও নজরে আসত। সময়ের ধারাবাহিকতায় বাড়ির পর্দার ব্যবহার প্রয়োজনকে ছাড়িয়ে অনেক বেশি আধুনিকতা ও নান্দনিকতায় রূপ নিয়েছে। জানালার পর্দার দৈর্ঘ্যও বেড়েছে।
ঘর অনুযায়ী
ঘরের আয়তন বুঝে পর্দা লাগাতে হবে। ঘর যদি ছোট হয়, তাহলে অপেক্ষাকৃত পাতলা ও হালকা রঙের পর্দা ব্যবহার করা উচিত। অন্যদিকে ঘরের আকার যদি একটু লম্বাটে হয়, তাহলে মেঝে পর্যন্ত লম্বা ও একটু ভারী পর্দা লাগানো যেতে পারে।
আলো থাক ঘরে
শহুরে ফ্ল্যাটগুলোয় আলোর অভাব থাকা একটা বড় সমস্যা। ঘরে দিনের বেলায় পর্যাপ্ত আলো প্রবেশ না করলে পাতলা পর্দা ব্যবহার করাই ভালো। সে ক্ষেত্রে জর্জেট ও নেটের হালকা রঙের পর্দা সবচেয়ে ভালো। আর ঘরে যদি স্বাভাবিকভাবেই পর্যাপ্ত আলো-বাতাস প্রবেশ করে, তাহলে একটু ভারী পর্দা বাছাই করা যেতে পারে। পাশাপাশি রংটাও একটু গাঢ় ধাঁচের হতে পারে।
ঘরের রং যদি গাঢ় হয়, তবে হালকা রঙের পাতলা পর্দা এবং ঘরের রং হালকা হলে পর্দা যেকোনো রঙের হলে ক্ষতি নেই। অনেক সময় কনট্রাস্ট রংও ভালো লাগে। তবে, শোবার ঘরের পর্দা সব সময়ই যেন সহনীয় রঙের হলে ভালো লাগবে। সে ক্ষেত্রে হালকা রং বেছে নেবেন। এতে ঘরে স্নিগ্ধতা বিরাজ করবে।
কোথায় পাবেন পর্দা
রাজধানীর নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, গুলশান-২, বসুন্ধরা সিটি, বসুন্ধরা রেসিডেন্সিয়াল এরিয়া, মৌচাকে পর্দা ও পর্দার জন্য গজ কাপড় কিনতে পাওয়া যায়। দেশীয় নকশার পর্দা কিনতে চাইলে বা দরদাম করতে না চাইলে সোজা চলে যেতে পারেন আড়ং, যাত্রাসহ অন্যান্য দেশীয় বুটিক হাউসে। এ ছাড়া নিউমার্কেটেও পাওয়া যাবে বিভিন্ন রঙের পর্দা।
সূত্র: লিভস্পেস