ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সালিসের মীমাংসার টাকা না পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে নাজির ভূইয়া নামে এক ব্যক্তি ইউনিয়ন পরিষদে হামলা করেছেন। গতকাল রোববার দুপুরে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর নাজির ভূইয়াকে (৪২) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নাজির ভূইয়া লেবাননে ছিলেন। সেখানে থাকার সময় একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের সঙ্গে ভিসা সংক্রান্ত বিষয়ে টাকা লেনদেন করেন। লেবানন থেকে ফিরে পাওনা টাকার জন্য গিয়াস উদ্দিনকে চাপ দেন। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লাসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা সালিসে বসেন। সালিসে গিয়াস উদ্দিনের ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি সেই টাকা চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লার কাছে দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান নাজির ভূইয়াকে টাকা দেননি।
গতকাল রোববার দুপুরে নাজির ভূইয়া বাঁশ নিয়ে মাথায় হেলমেট পড়ে চেয়ারম্যানের কক্ষে ঢুকে টেবিল ও চেয়ারম্যান ভাঙচুর করেন। পরে ইউপি সচিবের কক্ষে ঢুকে টেবিল ও উদ্যোক্তার কক্ষে ঢুকে দুটি কম্পিউটার ভেঙে ফেলেন। এ সময় তাঁকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইয়ামিন হোসেন। তিনি জানান, এই ঘটনায় নিয়মিত মামলা করা হবে।
বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম বলেন, ‘কেন তিনি আজ হামলা করে ভাঙচুর করলেন তা বুঝতে পারিনি। তাঁর মনে হয় মানসিক সমস্যা আছে। সালিসের রায়ে পাওয়া টাকা আমার কাছে গচ্ছিত আছে। আগামীকাল সেই টাকা তাঁকে দেওয়ার কথা ছিল।’
এই বিষয়ে জানতে চাইলেন বাসুদেব বিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের এসআই আল আমিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।