দৌলতখান উপজেলার চরপাতা ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বশির মিয়া। নিজের কোনো বসতভিটা নেই। অন্যের রান্না ঘরে থাকছেন। ভিক্ষা করে সংসার চালাচ্ছেন তিনি। কিন্তু অসুস্থ বশির মিয়া ভিক্ষা ছেড়ে স্বনির্ভর হতে চান। এ জন্য সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।
বশির মিয়া এক সময় ঢাকায় সিএনজি চালাতেন। স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে বেশ ভালোই চলছিল তাঁর সংসার। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটির বাত-ব্যথাজনিত কারণে পায়ে পচন ধরে গেছে। কিন্তু অর্থের অভাবে চিকিৎসা করাতে পারছেন না তিনি।
বশির মিয়া বলেন, ‘দুই মেয়ে (এক মেয়ে প্রতিবন্ধী) ও এক ছেলে আমার। অর্থের অভাবে ওদের পড়ালেখার খরচ চালাতে পারছি না। চিকিৎসার জন্য প্রতি মাসে প্রায় দশ হাজার টাকার প্রয়োজন। কিন্তু আমি তো কোনো আয় রোজগার করতে পারছি না। কীভাবে নিজের চিকিৎসা ও সংসার চালাব?’ তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকের পরামর্শে তিন-চার মাস লাগবে ভালো হতে। এ অবস্থায় চিকিৎসা ও সংসার চালাতে ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। কিন্তু আমি ভিক্ষা করতে চাই না।’
বশির মিয়া বলেন, ‘আমি যদি কারও সহযোগিতা পাই তাহলে ভিক্ষা ছেড়ে দোকানদারি করে সংসার ও চিকিৎসা খরচ চালাব।’