জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় বোরো মৌসুমের শুরুতে জানুয়ারি মাসে সাতটি গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়েছে। নির্দিষ্ট পরিমাণ চাঁদা দিয়ে ওই মিটার ফেরত পেয়েছেন অনেকে। আবার কয়েকজন মিটার মালিককে চাঁদা দিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। চাঁদা না দেওয়ায় মিটার চুরিসহ ভাঙচুর করার ঘটনা ঘটছে।
ক্ষেতলাল পল্লী বিদ্যুৎ অফিস ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় পাঁচটি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা আছে। পুরো উপজেলায় গত এক মাসে সাতটি গভীর নলকূপের মিটার চুরি হয়েছে কাগজ-কলমে। এ ছাড়া চুরি হওয়ার পর পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে বৈদ্যুতিক মিটার উদ্ধার হয়েছে এ রকম ঘটনা অহরহ ঘটছে। বেশির ভাগ মালিক চাঁদাবাজদের ভয়ে বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হওয়ার পর বিষয়টি থানা বা প্রশাসনকে জানান না। কারণ চাঁদাবাজরা মিটার ভাঙা থেকে শুরু করে বিভিন্নভাবে অত্যাচার করে গভীর নলকূপের মালিকদের।
গত জানুয়ারি মাসে যেসব কৃষকের গভীর নলকূপের বৈদ্যুতিক মিটার চুরি হয়েছে তাঁরা হলেন, উপজেলার তালশন গ্রামের এরফান আলী, মালিপাড়া গ্রামের শাহাজান আলী, ভাসিলা গ্রামের মকলেছার রহমান, দেওগ্রামের মিলন মেম্বার, তেলাবুদুলের গোলাম মোস্তফা, তেলাবুদুল ধাপপাড়ার নুর মোহাম্মাদ এবং বটতলী নামাপাড়া র কবীর আহম্মেদ।
২৪ জানুয়ারি কবীর আহম্মেদ তাঁর বৈদ্যুতিক মিটার চুরির বিষয়ে ক্ষেতলাল থানায় চাঁদাবাজের মোবাইল নম্বর দিয়ে অজ্ঞাত নামে একটি মামলা করেন। তা ট্রেকিং করে ২৮ জানুয়ারি জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার ডিপপারা গ্রামের শামছুল ইসলাম (৩৫) নামের এক বৈদ্যুতিক মিটার চোরকে পুলিশ আটক করে।
কানাইপুকুর গ্রামের গভীর নলকূপের মালিক নুরুল ইসলাম বলেন, বোরো মৌসুমে মিটার চুরি ও চাঁদাবাজেরা সক্রিয় হয়ে ওঠে। তারা প্রতিনিয়ত চিঠি দিয়ে চাঁদা দাবি করে। টাকা না পেলে মিটার চুরি এবং ভাঙচুর করে।
ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নীরেন্দ্র নাথ মন্ডল বলেন, ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাসে বৈদ্যুতিক মিটার বেশি চুরি হয়েছে। আমরা নয়জন মিটার চোরকে জেল-হাজতে পাঠিয়েছি। বর্তমানে মিটার চুরি হচ্ছে না। ক্ষেতলাল থানা এ বিষয়ে সতর্ক দৃষ্টি রেখেছে।