মাদারীপুরে সদর উপজেলায় প্রতারণার অভিযোগে বাবা-ছেলেকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা। গতকাল রোববার বিকেলে মস্তফাপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-রাজৈর উপজেলার কানাইপুর এলাকার মৃত হামেদ কাজীর ছেলে ইলিয়াস কাজী (৪৫) ও তার ছেলে লিটন কাজী (২৫)।
ভুক্তভোগী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার বেলা ১১টার দিকে এক নারী যাত্রী মস্তফাপুর থেকে আমগ্রাম যাওয়ার পথে তাঁকে বিভ্রান্ত করে নকল স্বর্ণের বার দিয়ে বিশ হাজার টাকা ও স্বর্ণের হার নিয়ে ঘটকচরে নামিয়ে দেন প্রতারক চক্রের সদস্যরা। পরে অটো রিকশায় করে পালিয়ে যান চক্রের চার সদস্য। পরবর্তীতে নারী যাত্রীর সবকিছু মনে পড়লে তিনি আবার মস্তফাপুর বাসস্ট্যান্ডে যায়। তাঁদের খুঁজে বের করতে দুপুর ৩টার দিকে একপর্যায়ে নারী যাত্রী সেই প্রতারক চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করেন। নারী যাত্রীর ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে প্রতারক চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু এলাকাবাসী ধাওয়া করে তাঁদের মধ্যে দুজনকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
ভুক্তভোগী শিলা বেগম বলেন, ‘বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি যাওয়ার সময় ১০০ টাকা ভাড়ার বিনিময়ে মস্তফাপুর থেকে আমগ্রাম যাওয়ার একটি অটোরিকশায় উঠি, আমি তো জানতাম না তাঁরা প্রতারক চক্রের সদস্য। তাঁরা আমাকে একটি স্বর্ণের বার দেখান, আমি কিনতে চাইনি কিন্তু কীভাবে যেন তাঁরা আমাকে সেই নকল বারটি হাতে ধরিয়ে দিয়ে আমার সঙ্গে থাকা ২০ হাজার টাকা আর গলার হার নিয়ে আমাকে ঘটকচর নামিয়ে দেন। পরে আমার সবকিছু মনে পড়লে দেখি, আমার ব্যাগে টাকা আর গলায় স্বর্ণের হার নেই।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘মস্তফাপুর এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে থানায় আনা হয়েছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’