প্রায় দুই বছর আগে বিদেশ থেকে ফিরে কৃষিকাজে নেমে পড়েন যশোরের ঝিকরগাছার হবিবর রহমান। বিদেশে যাওয়ার আগে থেকেই তাঁর ইচ্ছা ছিল পেয়ারা বাগান গড়ার। দেশে ফিরে সেই ইচ্ছা পূরণে কাজ শুরু করেন হবিবর রহমান।
চার লাখ টাকা খরচ করে তিন বিঘা জমি নিয়ে গড়ে তুলেছেন বারো মাসি পেয়ারা বাগান। এখন সেই খরচের টাকা তুলে লাভ গুনতে শুরু করেছেন হবিবর।
উপজেলার বারবাকপুর গ্রামের এ কৃষি উদ্যোক্তা জানান, ১৬ মাস আগে বারবাকপুর মাঠে তিন বিঘা জমিতে গোল্ডেন-৮ জাতের পেয়ারা গাছ লাগান। জমি প্রস্তুত, গাছের চারা রোপণ ও সংরক্ষণে বেড়া বাবদ মোট খরচ হয়েছে ৪ লাখ টাকা। গাছ লাগানোর কয়েক মাসের মধ্যেই ফল আসতে শুরু করে।
হবিবর রহমান বলেন, ‘খেতের পেয়ারা সব সময়ই বিক্রি করার যাবে। গাছের একই ডালে এক দিকে পেয়ারা পোক্ত হতে থাকে, অন্য দিকে ফুল আসে।’
তিনি বলেন, ‘গাছে ফল আসার ২০-২২ দিনের মাথায় সেগুলো পলিথিন ব্যাগ দিয়ে মুড়িয়ে দিই। ফলে পোকা-মাকড় বা অন্য কোনো জীবাণু আক্রমণ করতে পারে না।’
হবিবর রহমান বলেন, ‘বাগান করার প্রথম বছরেই খরচের টাকা উঠে গেছে। এই বাগানের গাছ অন্তত আরও ৫ বছর রাখা যাবে। প্রতি বছর অন্তত ৩-৪ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করা যাবে। এ জাতের পেয়ারা সুস্বাদু হওয়ায় অন্য পেয়াররা চেয়ে চাহিদা ও বেশি দামে বিক্রি হয়। এ পেয়ারা আকারেও অনেক বড়।’
ঝিকরগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ বলেন, ‘উপজেলায় ৫৫ হেক্টর জমিতে বাণিজ্যিকভাবে পেয়ারা চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৫ হেক্টরে বারো মাসি জাতের মিষ্টি পেয়ারার চাষ করা হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুদ হোসেন পলাশ আরও বলেন, ‘৩০ হেক্টর জমিতে অন্যান্য পেয়ারার চাষ হয়েছে। তবে গোল্ডেন-৮ জাতের পেয়ারা চাষে কৃষকেরা বেশি লাভবান হচ্ছেন। বিশেষ করে এ বছর বার মাসি পেয়ারা চাষিরা বেশি লাভবান হচ্ছেন।’