অ্যানিমেশন ছবির কথা মুখে তুলতে গেলে এক্ষুনি চিৎকার করে উঠবে অনেকেই: ফ্রোজেন, ফ্রোজেন, ফ্রোজেন!
চোখ ধাঁধিয়ে যাবে তোমারও, সত্যি বলছি! ফ্রোজেন অ্যানিমেশন মুভিতে একজন নয়, দু-দুজন রাজকন্যা আছে। তাদের দুজনেরই রয়েছে এমন অতীত, এমন দুঃখ যা তোমাকেও ছুঁয়ে যাবে। এলসা নামের যে রাজকন্যা রয়েছে, স্পর্শের মাধ্যমে যেকোনো কিছু বরফ করে দেওয়ার দুর্লভ ক্ষমতা রয়েছে তার। কিন্তু ওকে ভালোবাসে না কেউ। ওর আশ্চর্য এই ক্ষমতাকে কীভাবে বিলীন করে দেওয়া যায়, সে চেষ্টাই করে সবাই। আর তা সম্পূর্ণ গোপন রাখা হয় ছোট বোন আনার কাছ থেকে। এতে একটু একটু করে কষ্ট জমে উঠতে শুরু করে দুই বোনেরই মনে।
আর এসব কারণেই তাদের জীবনে নেমে আসে দুর্যোগ। এলসাকে চলে যেতে হয় নিজের রাজ্য ছেড়ে। তার পিছু নেয় ছোট বোন আনা। এর পর ক্রমেই একের পর এক অপ্রত্যাশিত মোড় নিতে থাকে গল্পটি। এরপর আনা দেখা পায় হ্যান্স নামের এক রাজপুত্রের। ডিজনির অন্য রূপকথার গল্প হলে এ পর্যায়েই তারা সুখে-শান্তিতে বসবাস করত হয়তো। কিন্তু অন্য সব রাজকন্যার মধ্যে যে বুদ্ধি সাধারণত কাজ করে না, সে বুদ্ধিটুকু রাজকন্যা এলসার মাথায় আছে ঠিকই। সে আনাকে সরাসরি বলে দেয়, ‘মাত্র পরিচিত হওয়া একজন মানুষকে তুমি এভাবে বিয়ে করতে পারবে না!’
গল্পের ধারাবাহিকতায় দৃশ্যে আসে পাহাড়ি যুবক ক্রিস্টফ, তার বল্গা হরিণ সভেন, হাঁটা-চলা-কথা বলায় সক্ষম তুষারমানব ওলাফসহ আরও অনেক চরিত্রের। ফ্রোজেনের মুক্তি পাওয়া প্রথম চলচ্চিত্রটির তিন বছর পর মুক্তি পায় দ্বিতীয় ছবিটি। এ ছবির শুরুতেই দেখা যায়, এলসা উত্তর দিক থেকে একটি অদ্ভুত শব্দ শুনতে শুরু করে। রানি এলসা, তার বোন আনা, ক্রিস্টোফ, ওলাফ ও সভেন এলসার ক্ষমতার উৎস খুঁজতে থাকে। সবাই তাদের রাজ্যকে রক্ষা করতে তাদের দেশ অ্যারেন্ডেলের বাইরে যাত্রা শুরু করে। এটায়ও তোমাদের জন্য অপেক্ষা করছে টানটান উত্তেজনা।