নৌকার সমর্থকেরা প্রকাশ্যে সিল মারছে। মেম্বার প্রার্থীকে ভোট দিতে ব্যালট দিচ্ছে। কিন্তু চেয়ারম্যানেরটা রেখে দিচ্ছে। আমার বিশ্বাস ছিল, নির্বাচনের দিন অন্তত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাকে সাহায্য করবে। কিন্তু তা হয়নি। আজ আমার সমর্থকেরা কেন্দ্রেই যেতে পারছে না। সবকিছু মিলে আমি ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’ গতকাল রোববার দুপুরে কাঁদতে কাঁদতে কথাগুলো বলছিলেন জুটন চন্দ্র দত্ত। নরসিংদীর পলাশের জিনারদী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন তিনি।
তিনি অভিযোগ করেন, প্রায় সব কেন্দ্রে ভোটারদের প্রকাশ্যে নৌকা প্রতীকে সিল মারতে বাধ্য করা হয়। এতে ভোটাররা তাদের পছন্দমতো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। এসব অনিয়মের অভিযোগ ফোনে প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। কুড়াইতলী বাজারে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজীর সমর্থকেরা শুরু থেকেই বিভিন্নভাবে আমার কর্মী সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন। একাধিকবার রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো পদক্ষেপ নেননি তিনি।’
এসব অভিযোগ সম্পর্কে জানতে একাধিকবার কল করা হয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কামরুল ইসলাম গাজীর মোবাইল ফোনে। তবে তিনি তাতে সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোসাম্মাৎ জোবাইদা খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব অনিয়মের অভিযোগে তিনি নির্বাচন বর্জন করেছেন, সেসব বিষয়ে কোনো কেন্দ্র থেকে অভিযোগ আসেনি। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।