নির্বাচনের পরিবেশ ঠিক থাকলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, ‘২০ দলীয় জোটে ছিলাম, আছি এবং থাকব। বাংলাদেশে জোট রাজনীতি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। তবে জোটকে বিএনপি মুখ্য নয়, গৌণ দৃষ্টিতে দেখছে।’
গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম নগরের জামালখানের একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতিবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আসন্ন নির্বাচনে জোট থেকে ৫০টি আসন চান। এর মধ্যে চট্টগ্রামের জন্য ১৯টি।
জোটের বিষয়ে সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, বাপ মারা গেলে সংসার চলে। বড় ভাই মারা গেলেও ছোট ভাইয়েরা সংসার চালান। দোকানে বড় ম্যানেজার মারা গেলে, ছোট ম্যানেজার চালান। বাংলাদেশ জোট রাজনীতি অপরিহার্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রধান শরিক বিএনপি বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে জোট নামক বিষয়টিকে গৌণ দৃষ্টিতে দেখছে, মুখ্য দৃষ্টিতে না। এই জন্য মনে কোনো আক্ষেপ নেই। অতীতে বিএনপির সব সমাবেশে শরিক দলগুলো ছিল।
এই মুহূর্তে আমরা নেই। প্রধান শরিক দল যদি সিদ্ধান্ত নেয়, ওনারা জোটে থাকবেন না। তাহলে ভিন্ন পরিস্থিতিতে আমরা কী করব, সেটি এখন বলা যাচ্ছে না। তবে আমরা বিশ্বাস করি ‘১০ মিলে করি কাজ, হারে জিতি নাহি লাজ’।
জনগণ চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, জনগণ যদি রাজপথ কাঁপাতে পারে, তাহলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন আবারও হতে পারে। আমরা নির্বাচনমুখী দল। নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন চাই। কল্যাণ পার্টি যথেষ্ট প্রস্তুতি নিচ্ছি। তবে সামনের পরিবেশ যদি অন্যরকম হয় তাহলে দলের সিদ্ধান্ত পরিবর্তনও হতে পারে।
কল্যাণ পার্টি কিংস পার্টি নয়, প্রজার পার্টি দাবি করে সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেন, ‘কল্যাণ পার্টি যে কিংস পার্টি না, সেটি খণ্ডন করতে ৪ বছর লাগছে। আমি সাবজেক্ট পার্টি। আমি রাজার পার্টি না। যদিও জন্মটা হয়েছে ওদের আমলে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, ১৫ বছর ধরে জনগণের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি। একটি কলমও গোয়েন্দা বা সরকার থেকে নিইনি। কোনো দলের হয়ে কল্যাণ পার্টি কাজ করে না।’