কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার নূর হোসাইনী আলিম মাদ্রাসার ৩য় ও চতুর্থ শ্রেণির চারটি পদে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষা কেন্দ্র দখল করে পরীক্ষকদের জিম্মি করে স্থানীয় একদল প্রভাবশালী নিজেদের পছন্দের প্রার্থীর নাম ফলাফল তালিকায় যোগ করে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন যোগ্য ও বঞ্চিতরা। এর প্রতিকার চেয়ে গত রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে নূর হোসাইনী আলিম মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী, নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে একজন করে লোকবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। ওই চার পদের বিপরীতে যাচাই-বাছাই করে ৬৫ জন প্রার্থীকে ১৭ ডিসেম্বর বেলা ২টা ৩০ মিনিটে মাদ্রাসা অফিস কক্ষে নির্বাচনী পরীক্ষায় উপস্থিত থাকার জন্য প্রবেশপত্র পাঠানো হয়। গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটায় পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও পরীক্ষা শুরু হয় বিকেলে। পরীক্ষা চলাকালে, সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় দুজন প্রার্থী লোকজন নিয়ে জোরপূর্বক পরীক্ষা কেন্দ্র দখল করেন। এ সময় পরীক্ষকদের জিম্মি করে, তাঁদের নামের ফলাফল তালিকায় স্বাক্ষর নিয়ে নেন। এতে যোগ্য ও মেধাবীরা বঞ্চিত হয়েছেন।
এ নিয়ে জানতে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. আজিজুল হকের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়। কিন্তু মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোজলিন শহীদ চৌধুরী বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’