জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে গয়ের ডোবা সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ। ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়েই প্রতিদিন চলাচল করতে হচ্ছে যানবাহনসহ পথচারীদের। উপজেলার কাঠারবিল সানান্দবাড়ী সড়কের এ সেতুটি ২০০৬ সালে নির্মাণ করা হয়। দুই বছর আগে সেতুটি পুনর্নির্মাণে প্রস্তাবনা করা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই প্রস্তাবনার কোনো হদিস নেই বলে জানায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
উপজেলা এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, এলজিইডির অর্থায়নে ২০০৬ সালে ৩৫ লাখ ২৫ হাজার ৫৯৭ টাকা ব্যয়ে গয়ের ডোবা খালের ওপর পথচারী সেতু নির্মাণ করা হয়। সেতুটি নির্মাণের সময় দুই পাশে সরু কাঁচা রাস্তা ছিল। ২০১৭ সালে কাঠারবিল থেকে সানান্দবাড়ী পর্যন্ত পাকা সড়ক হলে সেতু দিয়ে যান চলাচল শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা যায়, কাঠারবিল-সানান্দবাড়ী সড়ক পাকা হওয়ায় বিশাল জনগোষ্ঠীর জেলা-উপজেলায় যাতায়াত সহজতর হয়েছে। কিন্তু গয়ের ডোবা সেতুটির প্রশস্ততা খুবই কম। পাশাপাশি দুটি ভ্যানগাড়ি চলতে পারে না।
স্থানীয় বাসিন্দা হজরত আলী মাস্টার, মো. আ. সালাম ও মো. রফিল উদ্দিন বলেন, প্রায় নয় বছর আগে থেকে সেতুটির রেলিং ভাঙতে শুরু করে। প্রায় তিন-চার বছর আগে থেকে ভাঙতে শুরু করে পাটাতন। সেতুটির ওপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে শত শত যানবাহন চলাচল করছে।
তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন মহলে ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর বিষয়টি জানালেও আজ পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হয়নি। তাঁরা সেতুটির প্রশস্ততা বৃদ্ধিসহ যানবাহন পারাপারের উপযোগী সেতু নির্মাণের দাবি জানান।
এ বিষয়ে চর আমখাওয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান আকন্দ বলেন, কাঠারবিল সানান্দবাড়ী সড়কের গয়ের ডোবা সেতুটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেতুর রেলিং অনেক আগেই ভেঙে গেছে। সেতুর পূর্ব-পশ্চিম পাড়ের মানুষের বিকল্প সড়ক না থাকায় এই সেতু দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে।
এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী মো. তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘গয়ের ডোবা সেতুটি পুনর্নির্মাণের জন্য আড়াই বছর আগে প্রস্তাবনা করা হয়। সে প্রস্তাবনার কোনো হদিস আমি এসে পাইনি। বর্তমানে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ। তাই ওই স্থানে সড়কের উপযোগী ১০০ মিটার নতুন সেতু নির্মাণের জন্য শিগগিরই প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।’