চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে মোহাম্মদ আলী ওরফে ‘পানিবাবা’ নামের এক কবিরাজকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাঁর বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় এক প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা করেছেন। গত মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে মোহাম্মদ আলীকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
গত সোমবার রাত নয়টার দিকে হাটহাজারী উপজেলার বাথুয়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে মোহাম্মদ আলীকে (৬২) গ্রেপ্তার করে র্যাব।
র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মোহাম্মদ আলী নিজেকে ভুয়া কবিরাজ বলে স্বীকার করেছেন। প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে তিনি তাবিজ ও পানিপড়া দিতেন। এরপর কৌশলে নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতেন। তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিতেন।
হাটহাজারী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজিব শর্মা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
র্যাব জানায়, প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে তিন মাস যোগাযোগ ছিল না এক নারীর। তাঁকে কেউ স্বামীর খোঁজ দিতে পারেনি। একপর্যায়ে প্রতিবেশীর পরামর্শে স্বামীর খোঁজে দ্বারস্থ হন পানিবাবা নামের ওই বৈদ্যের কাছে। ওই বৈদ্য তাঁর কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেওয়াসহ কৌশলে ধর্ষণ করেন।
এ ঘটনায় র্যাব-৭ চট্টগ্রামের কাছে ওই নারী অভিযোগ দেন। এরপর অভিযানে নামে র্যাব। এমনটা জানিয়ে র্যাব-৭-এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার। তিনি বলেন, ওই নারীর ১৮ বছর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের ঘরে একটি সন্তান আছে। তাঁর স্বামী ছয় বছর ধরে প্রবাসে থাকেন। কিন্তু গত তিন মাস স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায় তাঁর। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য এক প্রতিবেশীর পরামর্শে বৈদ্য মোহাম্মদ আলীর কাছে যান।
নুরুল আবছার জানান, ২২ জানুয়ারি পানি পড়া খেতে নিজের আখড়ায় ওই নারীকে যেতে বলেন মোহাম্মদ আলী। সেখানে কৌশলে পানির ভেতর ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে দেন। সেই পানি খেয়ে ওই নারী অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে জ্ঞান ফিরে এলে একটি খাটের ওপর নিজেকে অর্ধ উলঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান ওই নারী। তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। এ ঘটনার দুই দিন পর গত সোমবার র্যাবের কাছে অভিযোগ দেন ওই প্রবাসীর স্ত্রী। পরে র্যাব অভিযান চালিয়ে মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে।