বরগুনার পাথরঘাটা থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ–পশ্চিমে সুন্দরবন এলাকার মান্দারবাড়িয়া এলাকায় ভারতীয় ট্রলারসহ ২৫–৩০ জন ডাকাত বাংলাদেশের জলসীমায় ঢুকে ডাকাতি করেছে। ডাকাতির সময় মুসা (৩০) নামে এক বাংলাদেশি জেলেকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় শতাধিক জেলে আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী।
গত মঙ্গলবার দুপুরের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সুন্দরবন এলাকায় ভারতীয় ডাকাত দল এ তাণ্ডব চালিয়েছে বলে জানান মালিক সমিতি। আবার বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি হওয়ার এমন ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট মৎস্যজীবীরা।
এদিকে বুধবার সকালে ডাকাতের গুলিতে নিহত জেলে মুসার মরদেহ পাথরঘাটা মৎস্য বন্দরে নিয়ে আসলে স্থানীয় সাংসদ রিমন সেখানে উপস্থিত হয়ে সাংবাদিকদের জানান, বাংলাদেশের জলসীমায় কোনো ডাকাত বা জলদস্যু নেই। ভারতীয় ডাকাত দল দেশীয় কিছু ডাকাতদের নিয়ে সঙ্গবদ্ধ হয়ে বঙ্গোপসাগরে ডাকাতি করছে।
নিহত জেলে উপজেলার সদর ইউনিয়নের চরলাঠিমারা গ্রামের হারুন মিয়ার ছেলে। তিনি তাঁর চাচা বাবুল ফকিরের ট্রলারে প্রথমবারের মতো সাগরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সহসভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী জানান, বাবুল ফকির, বাদল মোল্লা, আনোয়ার হোসেন, আবদুর রহমান ও মুসার মালিকানাধীন ট্রলারসহ অন্তত দশটি ট্রলারে ভারতীয় জলদস্যুরা ডাকাতি করে। তাঁরা মাছ, জাল–দড়ি, তেল, ইঞ্জিনের যন্ত্রাংশসহ যাবতীয় রসদ সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী জানান, এফবি বাবুল ট্রলার লুট করার সময় ট্রলার মালিকের ভাইয়ের ছেলে মুসা বাধা দিলে তাঁকে লক্ষ্য করে ডাকাতদল গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। অন্তত দশটি ট্রলারে ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে ওই ডাকাত দলের বিরুদ্ধে।
প্রত্যক্ষদর্শী ট্রলার মালিক বাবুল ফকির বলেন, ‘দ্রুত গতিসম্পন্ন বিশাল আকৃতির ট্রলারে মুখোশ পরিহিত অবস্থায় ২৫–৩০ জন ডাকাতকে দেখতে পেয়েছি। এর মধ্যে দু-একজন বাংলায় এবং বাকি সবাই হিন্দিতে কথা বলেছে।’