মানবজাতির চাহিদা পূরণের সব উপাদান দিয়ে মহান আল্লাহ পৃথিবীতে যে উপযুক্ত প্রতিবেশ তৈরি করেছেন, তা-ই আমাদের প্রকৃতি। আমাদের চারপাশে অবস্থিত গাছপালা, নদ-নদী, ফুল-ফল, পশুপাখিসহ সবকিছুই প্রকৃতির উপাদান। মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। সে হিসেবে মানুষের চলাফেরা, আচার-ব্যবহার, আখলাক-চরিত্র, রুচিবোধ, মননশীলতা—সবকিছুই শ্রেষ্ঠ হবে, এটাই স্বাভাবিক। প্রকৃতির প্রধান ও শ্রেষ্ঠ অংশ হলো পানি ও বাতাস। এ দুটি উপাদান আমাদের প্রতিনিয়ত প্রয়োজন। তাই পানি ও বাতাস দূষণমুক্ত রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও সামাজিক কর্তব্য।
আল্লাহ তাআলা পানি সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের ৬০ জায়গায় কথা বলেছেন। পানি ছাড়া আমাদের জীবন অচল। তাই পানির অপর নাম জীবন। পানি আল্লাহর দেওয়া শ্রেষ্ঠ নেয়ামত। সুতরাং এই নেয়ামতের যথাযথ মূল্যায়ন করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘প্রাণবান সবকিছু পানি থেকে সৃষ্টি করেছি।’ (সুরা আম্বিয়া: ৩০) পানি প্রাণ সৃষ্টির মূল উপাদান। এ উপাদান সংরক্ষণ করার জন্য কোরআনে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পানি ছাড়া গাছপালা, বন, নদী-নালা, পশুপাখি কল্পনাও করা যায় না। পানির অস্তিত্ব প্রাণীর অস্তিত্বের পূর্বশর্ত। তাই আমাদের উচিত, পানি দূষণমুক্ত রাখা এবং এর অপচয় রোধ করা।
পানির পাশাপাশি আরও যত প্রাকৃতিক সম্পদ আছে—সবকিছুর যথাযথ ব্যবহার, পরিচর্যা ও সংরক্ষণ নিশ্চিত করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘মানুষের কৃতকর্মের ফলে জলে ও স্থলে বিপর্যয় ঘটেছে।’ (সুরা রুম: ৪১) আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনের মধ্যে বহুবার পরিবেশ সংরক্ষণ এবং পরিবেশকে দূষণমুক্ত রাখার জন্য উৎসাহিত করেছেন। তাই পরিবেশ সুরক্ষায় আমাদের সবার ভূমিকা রাখা অবশ্যকর্তব্য।
ড. মো. শাহজাহান কবীর,চেয়ারম্যান, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি