কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার ষষ্ঠ ধাপে ৯ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। গত শনিবার রাতে দলটির ধানমন্ডির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে এসব প্রার্থীর মনোনয়ন দেওয়া হয়। আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার পুরোনো প্রার্থীদের ওপরই ভরসা করেছে দল। ৯ ইউপির ৭টিতেই গত নির্বাচনের প্রার্থীদের আবারও মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
যাঁরা দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন, তাঁরা হলেন উপজেলার জাঙালিয়া ইউপিতে সরকার শামীম আহমেদ, চরফরাদীতে আবদুল মান্নান, এগারসিন্দুরে নুরুজ্জামান বাবু, বুরুদিয়ায় মাহবুবুর রহমান, পাটুয়াভাঙায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহাব উদ্দিন, হোসেন্দীতে হাদিউল ইসলাম, নারান্দীতে শফিকুল ইসলাম, চণ্ডীপাশায় মঈন উদ্দিন এবং সুখিয়া ইউপিতে আবদুল হামিদ টিটু।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনোনয়নপ্রাপ্তদের মধ্যে হোসেন্দী ইউপির হাদিউল ইসলাম ও বুরুদিয়া ইউপির মাহবুবুর রহমান ছাড়া অপর সাতজন গত ইউপি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়েছিলেন। এর মধ্যে জাঙালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান সরকার শামীম আহমেদ, পাটুয়াভাঙার চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহাব উদ্দিন, নারান্দীর চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম ও সুখিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ টিটু নৌকা প্রতীকে জয়লাভ করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ‘যোগ্য ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জয়ের ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।’
তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত, প্রার্থিতা যাচাই-বাছাই হবে ৬ জানুয়ারি। প্রার্থিতার বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ৭ থেকে ৯ জানুয়ারির মধ্যে। আপিল নিষ্পত্তি হবে ১০ থেকে ১২ জানুয়ারি। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করা যাবে ১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৪ জানুয়ারি এবং ভোট গ্রহণ ৩১ জানুয়ারি।