রাজৈরের বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে টাকা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হালিম ফকিরের সমর্থকদের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বাজিতপুরের বিভিন্ন গ্রামে টাকা দিতে আসেন এই প্রার্থীর সমর্থকেরা। এ সময় আয়নাল হাওলাদারের বাড়িতে টাকা দিতে আসলে স্থানীয় নারীরা তাঁকে আটক করেন। তবে সঙ্গে থাকা গরম পোশাক ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যান তিনি।
বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের ঘোড়া প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হালিম ফকির বলেন, ‘আমার গ্রুপের কেউ কোনো টাকা পয়সা দেন না। আমি নিজেও দেই না। আমার নামে যারা এসব বলেছেন, এটা মিথ্যা বানোয়াট কথা বলেছেন। আমি নিজেই মাঠে তেমনভাবে ভোট চাই না, তাহলে টাকা দেব কীভাবে?। আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে একটি সমস্যা তৈরি করার চেষ্টা করছেন।’
রোমানা নামের একজন বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে চার-পাঁচটা ছেলে এসে টাকা দিয়ে মিষ্টি খেতে বলে এবং ঘোড়া মার্কায় ভোট দিতে বলে। এ সময় আমি টাকাসহ একজনকে ধরলে সে জামা ও স্যান্ডল রেখেই দৌড়ে পালিয়ে যায়।’
এ বিষয়ে বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার বলেন, ‘হালিম ফকির টাকা পয়সা দিয়া প্রত্যেকটা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তিনি অবৈধভাবে টাকা-পয়সা দিয়ে বাজিতপুরের নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। আমি চাই, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
মাদারীপুর জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের কাছে এ বিষয়ে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করেননি। যদি এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পাই, তাহলে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’