হোম > ছাপা সংস্করণ

প্রতিশ্রুতি নিয়ে ভোটারের দুয়ারে কাউন্সিলর প্রার্থীরা

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

দরজায় কড়া নাড়ছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচন। গত ৩০ নভেম্বর বিকেলে নির্বাচন ভবনে নাসিক নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই পুরোদমে গণসংযোগ শুরু করেছেন সম্ভাব্য কাউন্সিলর পদপ্রার্থীরা।

তফসিল অনুযায়ী, নাসিক নির্বাচন ১৬ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ১৫ ডিসেম্বর। ২০ ডিসেম্বর বাছাই এবং ২৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়।

নাসিকের ২৭টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১০টি ওয়ার্ডের অবস্থান সিদ্ধিরগঞ্জে। এ ১০টি ওয়ার্ডে ৬৬ জন পুরুষ ও ১১ জন নারীসহ সর্বমোট ৭৭ জন প্রার্থী তাঁদের প্রচারণা চালাচ্ছেন। এর মধ্যে ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী হয়েছেন প্রায় ৬-৭ জন। তবে এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছেন বর্তমান কাউন্সিলর ওমর ফারুক, থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুর রহমানের ছেলে ব্যবসায়ী মাহমুদুর রহমান এবং সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহিম। গত বুধবার নাসিক নির্বাচনের ব্যাপারে এবং নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে তাঁদের সঙ্গে বিস্তারিত কথা হয়।

বর্তমান কাউন্সিলর ওমর ফারুক বলেন, ‘আমি এমন একটি ওয়ার্ড চাই, যে ওয়ার্ডে প্রত্যেকটা মানুষ সুন্দরভাবে চলাফেরা করতে পারবে। আমার ওয়ার্ডে কোনো ইভটিজিং থাকবে না, কোনো কিশোর গ্যাং, মাদক, সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ থাকবে না।’ তিনি তাঁর বিগত ৫ বছরে প্রায় ১০৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকার উন্নয়নের কাজ করেছেন বলে জানান। তিনি তাঁর মেয়াদে ড্রেন, কালভার্ট, ল্যাম্পপোস্ট, পয়োনিষ্কাশনের ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘আমার ওয়ার্ডের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে বখাটে ছেলেদের আড্ডা-ইভটিজিং শক্ত হাতে দমন করেছি। নাসিক নির্বাচন শত ভাগ সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে, এই প্রত্যাশাই করি আমি। তবে কিছু ভোটার শঙ্কিত। তাঁরা ঠিকমতো ভোট দিতে পারবেন কি না জানি না।’ জয়ের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘আমি গত ৫ বছর নিজের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে জনগণের সেবা করেছি। মহামারি করোনার সময়ে আমি জনগণের পাশে থেকে কাজ করেছি।’ ইভিএমে ভোট হওয়ায় নির্বাচনে কারচুপি করার সুযোগ থাকবে না বলে মনে করেন তিনি।

ব্যবসায়ী মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘আমি আমার ওয়ার্ডকে সন্ত্রাসমুক্ত, চাঁদাবাজমুক্ত, ইভটিজিংমুক্ত ও কিশোর গ্যাংমুক্ত করতে চাই। বিগত মেয়াদে শুধু রাস্তাঘাটের উন্নয়ন হলেও এই ওয়ার্ডে ভালো কোনো ক্লিনিক, হাসপাতাল, কলেজ, কমিউনিটি সেন্টার, খেলার মাঠ হয়নি।’ তিনি ভোটারদের ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান যে, ‘এই ওয়ার্ডের লোকজন একজন ভালো, মানবিক এবং শিক্ষিত জনপ্রতিনিধি চান। এই ওয়ার্ড নিয়ে আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে, এই ওয়ার্ডকে আমি একটি মডেল ওয়ার্ডে পরিণত করতে চাই।’ তিনি জয়ের ব্যাপারে সম্পূর্ণ আশাবাদী বলে জানান যে, ‘ইভিএমের কারণে এইবারের নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে।’

সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহিম বলেন, ‘আমি এমন একটি ওয়ার্ড চাই, যে ওয়ার্ডে প্রত্যেকটি মানুষ শান্তিমতো বসবাস করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রথমবার আমি যখন কাউন্সিলর হই তখন সিটি করপোরেশনের বাজেট কম ছিল। তাই আমার পক্ষে ভালোভাবে উন্নয়ন করা সম্ভব হয়নি। আমি হয়তো এলাকার উন্নয়ন কম করেছি, কিন্তু মানুষের কোনো ক্ষতি করিনি। তাই আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। আমি যদি নির্বাচিত হই, তাহলে এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রথমেই এলাকার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে সিসি ক্যামেরা লাগাব।’ ইভিএম নিয়ে তাঁর কোনো আপত্তি নেই, কিন্তু অনেকেই ইভিএম দিয়ে ভোট দিতে অভ্যস্ত নয়। সে জন্য ভোটের আগে ইভিএম সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দিলে ভোটারদের জন্য ভালো হয়।

উল্লেখ্য ২০১১ সালে সিটি করপোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এটি হচ্ছে নাসিকের তৃতীয় নির্বাচন। প্রথমবার ৯টি ওয়ার্ডে ইভিএমে, বাকিগুলোতে ব্যালট পেপারে ভোট হয়। ২০১৬ সালে সব কেন্দ্রে ব্যালট পেপারে এবং এবার ভোট হবে ইভিএমে। এবার মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৮৭টি। এবারের নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৫৭ জন ভোটার। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৯ হাজার ৮৩৪ জন এবং মহিলা ভোটার ২ লাখ ৫৭ হাজার ৫২৩ জন।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ