আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঘেরের মাছ নিয়ে গেল প্রতিপক্ষের লোকজন। এতে বাধা দিলে হাতবোমা বিস্ফোরণ করে মারধরের অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামের কৃষ্ণকান্ত ভক্তের বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে মাদারীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেছেন একই ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের সুশীল কির্ত্তনীয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
মামলার এজাহার ও ভুক্তভোগীর অভিযোগ থেকে জানা যায়, উত্তর কলাগাছিয়া গ্রামে মাছের ঘের করে আসছিলেন সুশীল কির্ত্তনীয়া। কিন্তু ওই জমি নিয়ে মামলা থাকায় কেউই মাছ ভোগ দখল করতে পারছিলেন না। পরে প্রতিপক্ষ কৃষ্ণকান্ত ভক্ত এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। কিন্তু সেই টাকা না দেওয়ায় গত ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে ১২-১৩ জন লোক নিয়ে এসে ঘেরে জাল দিয়ে সব মাছ নিয়ে যান। এ সময় সুশীল বাধা দিলে কয়েকটি হাত বোমার বিস্ফোরণ ঘটান তিনি। এতে সুশীলসহ কয়েকজন আহত হন। এ ঘটনায় ২২ ফেব্রুয়ারি চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আদালতে ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলাটি আমলে নিয়ে বিচারক ফয়সাল আল মামুন জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দেন। এ ঘটনার পর থেকে আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
এ ব্যাপারে সুশীল কির্ত্তনীয়া বলেন, ‘আমার কাছে চাঁদা না পেয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ঘেরের সব মাছ ধরে নিয়ে গেছে। আমি মামলা করায় প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা।’
অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলার জন্য কৃষ্ণকান্ত ভক্তকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। এলাকাবাসীর দাবি, মামলার পর থেকে তাঁরা গা-ঢাকা দিয়েছেন।
মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা বলেন, ‘আদালত যে নির্দেশ দেয়, সেটাই বাস্তবায়ন করা হবে। কেউ আইন অমান্য করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’