মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলে ৮৫০ মেট্রিক টন ডিএপি সার নিয়ে ডুবে যাওয়া লাইটার জাহাজ এম ভি দেশ বন্ধু জরুরিভাবে উত্তোলনে মালিক পক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেমে দ্রুত সার অপসারণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার ও সচিব (ভারপ্রাপ্ত) কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন গতকাল শনিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, শনিবারই এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়ে দেশ বন্ধু লাইটার জাহাজের মালিক কাজী নজরুল ইসলামকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে হারবার মাস্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন উল্লেখ করেন, জাহাজ চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বন্দরের নৌ চ্যানেল থেকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে জরুরি ভিত্তিতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে জাহাজটি উদ্ধার করতে হবে। এ সময়ের মধ্যে মালিকপক্ষ তা উদ্ধারে ব্যর্থ হলে বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় জাহাজটি উদ্ধার করবে।
তবে এর জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষকে মালিকপক্ষ সম্পূর্ণ খরচ দিতে না পারলে জাহাজটি নিলামে তুলবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে তিন দিনের মধ্যে ডুবে যাওয়া ওই জাহাজ থেকে ডিএপি সারও অপসারণ করতে হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আবদুল্লাহ হারুন চৌধুরী বলেন, পশুর নদীতে ডুবে যাওয়া জাহাজ থেকে এরই মধ্যে ডিএপি সার ছড়িয়ে পড়েছে। ইউরিয়া ও টিএসপির মিশ্রণে তৈরি হয় ডিএপি সার। এই ডিএপি সার অতিমাত্রায় দূষণ তৈরি করে। ফলে ব্যাকটেরিয়া ও অনুবিক্ষনিক জীবাণু বেড়ে জলজ প্রাণীর রোগ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সব মহলকে সচেতন হওয়া উচিত ছিল বলে মনে করেন তিনি।
গত শুক্রবার পশুর নদীতে ডিএপি সার নিয়ে ডুবে যায় লাইটার জাহাজ দেশ বন্ধু।