বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম বৃদ্ধির কথা বলে সরকার নিজের স্বার্থে দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু যখন বিশ্ববাজারে দাম কমে গেল, তখন আর তারা দাম কমাল না। তেমনি গ্যাস, চাল, ডালসহ সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যই আজ ঊর্ধ্বগতি। কিন্তু সেদিকে খেয়াল নেই সরকারের।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে যশোরের জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকার প্রতিটি ক্ষেত্রেই ধনীদের পদলেহন করে যাচ্ছে। কোনো ক্ষেত্রেই তারা গণমানুষের কথা বিবেচনা করছে না। এ দেশের পরিবহন মালিকেরা তাঁদের ভাড়া বাড়ানোর জন্য আন্দোলন করেন। সরকার তাঁদের ঠান্ডা করেছে। কিন্তু জনগণের পক্ষে দাঁড়ায় না। তেমনি গ্যাসের ক্ষেত্রেও। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে প্রায় ৩০০ টাকা বেড়েছে গ্যাসের দাম। সেখানেও মালিক পক্ষের আন্দোলনের মুখে গণমানুষের কথা চিন্তা না করে দাম বাড়ানো হয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতারা আরও বলেন, আজ বাজারে গেলে বোঝা যায় পরিস্থিতি সাধারণ মানুষের জন্য কত কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। শীতের মৌসুম চলছে, অথচ সবজির দাম সাধারণের নাগালের বাইরে। এখন আর শুধু নিম্নবিত্ত নয়, মধ্যবিত্তের মানুষকেও খাদ্য কষ্টে ভুগতে হচ্ছে। দেশের বিশাল এক জনগোষ্ঠী ক্রমেই পুষ্টিহীনতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকার কাদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করছে?
সমাবেশ থেকে নেতৃবৃন্দ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, তেল-গ্যাসের মূল্য কমানো, রেশনিং ব্যবস্থা চালুর দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন বাম গণতান্ত্রিক জোট যশোরের সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান ভিটু, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির যশোরের সভাপতি আবুল হোসেন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির (মার্কসবাদী) যশোরের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের যশোরের সাধারণ সম্পাদক তসলিমুর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী) যশোরের সমন্বয়ক হাচিনুর রহমান, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল যশোর জেলার সমন্বয়ক শাহাজান আলী প্রমুখ।