গৌরীপুরে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে। ১০ ইউপির নির্বাচন হলেও ফলাফল ঘোষণা হয়েছে ৯টির। এর মধ্যে মাত্র ২ ইউপিতে দলটির প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। অপর ইউপির ফলাফল ঘোষণা স্থগিত রাখা হয়েছে। দুর্বল প্রার্থী বাছাই, বিদ্রোহী প্রার্থী ও নেতাকর্মীরা গোপনে অন্য প্রার্থীর পক্ষে কাজ করা ভরাডুবির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন দলটির স্থানীয় নেতারা।
উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন জুয়েল বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত সব সময়ই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। ইউপি নির্বাচনেও তাঁরা পরিকল্পিতভাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। পাশাপাশি নিজ দলের কিছু নেতাকর্মী গোপনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন।’
গত রোববার ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মাত্র দুজন চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। তাঁরাও জয়ী হয়েছেন খুব সামান্য ভোটের ব্যবধানে।
এ ছাড়া দুই ভোট কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ স্থগিত থাকায় সিধলা ইউপির ফলাফল স্থগিত রেখেছে নির্বাচন কমিশন। এ ইউপিতে স্থানীয় সাংসদ নাজিম উদ্দিন আহমেদের ছোট ভাই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীনসহ ১১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
নৌকা নিয়ে জয় পাওয়া দুজন হলেন গৌরীপুর ইউপিতে সাবেক চেয়ারম্যান মো. হযরত আলী ও সহনাটিতে সালাউদ্দিন কাদের রোবেল।
বাকি সাত ইউপিতে বিজয়ীরা হলেন মইলাকান্দা ইউপিতে বিএনপি নেতা আনারস প্রতীকের মো. রিয়াদুজ্জামান রিয়াদ, অচিন্ত্যপুর ইউপিতে বিএনপি নেতা মোটরসাইকেল প্রতীকের জায়েদুর রহমান, মাওহায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের মো. আল ফারুক, বোকাইনগরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও বিদ্রোহী আল মুক্তাদির শাহীন, রামগোপালপুর ইউপিতে বিদ্রোহী আনারস প্রতীকের আব্দুল্লাহ আল আমিন জনি, ডৌহাখলায় বিদ্রোহী ঘোড়া প্রতীকের এম এ কাইয়ুম ও ভাংনামারীতে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের নেজামুল হক সরকার। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান মারুফ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা নাজিম উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘প্রার্থী বাছাইয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে না পারাই ভরাডুবির প্রথম কারণ। দ্বিতীয়ত ভোটারদের নিজ এলাকার প্রার্থীর প্রতি বিশেষ দুর্বলতা থাকে। এ ছাড়া দলীয় কিছু নেতাকর্মী গোপনে বিদ্রোহী প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেছেন। দলীয় প্রার্থীদের পরাজয়ে এটি অন্যতম কারণ।’