হোম > ছাপা সংস্করণ

বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহার বন্ধে নেই পদক্ষেপ

ভালুকা প্রতিনিধি

ভালুকা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনুমোদনহীন অটো চার্জের গ্যারেজ গড়ে তুলেছেন মালিকেরা। প্রতিটি গ্যারেজে ১০ থেকে ১৫টি করে অটো ও ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া হয়। এতে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহার বাড়লেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এসব বন্ধে নেই কোনো পদক্ষেপ। আবার এসব গ্যারেজ থেকে অটো বাইক চুরির ঘটনাও ঘটছে। আবাসিক মিটার দিয়ে এসব গ্যারেজে ব্যাটারি চার্জ দেওয়ায় সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের, হাট-বাজারে ঘর ভাড়া নিয়ে অটো, ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ করার জন্য গ্যারেজ গড়ে তোলা হয়েছে। এসব গ্যারেজ বেশির ভাগই অনুমোদনহীন। বৈধভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহারের চেয়ে অবৈধ বিদ্যুতের ব্যবহার বেশি হচ্ছে। আবাসিক মিটার থেকে বাণিজ্যিক ব্যবহার হলেও সংশ্লিষ্টদের মাথাব্যথা নেই। এভাবে বিদ্যুতের ব্যবহার করায় বিদ্যুৎ ঘাটতি হচ্ছে বলে অনেকেই দাবি করেন। বিদ্যুতের অপচয়ের পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। অপরদিকে গ্যারেজ মালিকেরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করে লাভবান হচ্ছে। বিভিন্ন গ্যারেজে অটো ও ইজিবাইকের ব্যাটারি চার্জ করতে গ্যারেজ মালিক প্রতি রাতে চার্জের জন্য অটো প্রতি ১০০ থেকে ১৩০ টাকা আদায় করছে।

অটো মালিক আলামিন জানান, তিনি ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের জামিরদিয়া মাস্টারবাড়িতে মফিজের বাড়িতে ভাড়া থাকেন। সেই সুবাদে তিনি ১ লাখ ৫০ হাজার টাকায় একটি ইজি বাইক কেনেন। সেটি ভাড়া চালিয়ে সংসার চালাতেন। সারা দিন বাইক চালিয়ে রাতে আমতলী সোহেলের গ্যারেজে টাকার বিনিময়ে ব্যাটারি চার্জে দেন। কদিন আগে ওই গ্যারেজ থেকেই তাঁর অটো বাইকটি চুরি হয়ে যায়।

গ্যারেজের মালিক সোহেল মিয়া জানান, তার গ্যারেজে আলামিন ইজি বাইকের ব্যাটারি চার্জের দৈনিক টাকা পরিশোধ করে ওই দিন বাইকের ব্যাটারি চার্জে বসিয়ে যান। অটোটি চুরি হলেও তিনি কিছুই জানেননি। তাঁর দুটি বড় শেডে প্রতিদিন বাণিজ্যিকভাবে একযোগে ২৮টি ইজি বাইকের ব্যাটারি চার্জ দেওয়া দেন তিনি। তিনি আরও জানান, প্রতি গাড়ি ছোট বড়র কারণে ১০০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত একদিনের বিদ্যুৎ বিল চার্জ বাবদ নেন। এভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করে ব্যাটারি চার্জের ব্যবসা করা বিধিসম্মত কি না বা অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) নুর মোহাম্মদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি একটি কারখানায় আছি। আপনার সঙ্গে পরে কথা বলব।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ