রাজশাহীর দুর্গাপুরের কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ দখল করে কাঠের ব্যবসা করছেন স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা খেলাধুলা করতে পারছে না। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা কাঠ ব্যবসায়ীদের একাধিকবার মাঠ থেকে কাঠের গুঁড়ি সরিয়ে নিতে বললেও ব্যবসায়ীরা কর্ণপাত করছেন না।
গতকাল সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কেনাবেচার জন্য থরে থরে কাঠ সাজানো আছে। কয়েকজন নারী সেখানে ধান শুকাচ্ছেন। কয়েকজন শ্রমিক শ্যালো ইঞ্জিনচালিত ট্রলিতে করে কাঠ নিয়ে যাচ্ছেন। আবার বিভিন্ন জায়গা থেকে কাঠ নিয়ে এসে নামাচ্ছেন।
এক শ্রমিক জানান, ছিদ্দিক নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে কাঠ কিনে এক ব্যবসায়ী তাঁর ট্রলিতে উঠিয়ে দেন। সেগুলো বিদ্যালয় মাঠে রাখার নির্দেশও দেন। তাই তিনি বিদ্যালয়ের মাঠে কাঠ রাখছিলেন। তিনি এই মাঠ থেকে ব্যবসায়ীদের কাঠ বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দেন বলেও জানান।
এ বিষয়ে কাঠ ব্যবসায়ী ছিদ্দিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।
কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানায়, মাঠে কাঠ কেনাবেচার ফলে তারা মাঠে খেলতে পারছে না। খেলতে গেলে দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
কাশিপুর গ্রামের আব্দুস সালাম বলেন, গাছের টুকরা মাঠে পড়ে আছে। এ জন্য বিকেলে ছেলেরা খেলাধুলা করতে পারে না। ব্যবসায়ীদের মাঠ থেকে কাঠ সরাতে বললেও কাজ হয় না। কাঠ না সরালে মাঠে খেলাধুলা সম্ভব নয়।
কাশিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মাঠে কাঠ রাখার জন্য ছেলেরা খেলাধুলা করতে পারছে না। ওই ব্যবসায়ী যদি দু-এক দিনের মধ্যে কাঠ না সরায়, তাহলে ইউএনওকে লিখিতভাবে জানানো হবে।’
জানতে চাইলে ইউএনও সোহেল রানা বলেন, ‘এ-সংক্রান্ত অভিযোগ এখনো পাইনি। খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’