ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে চলছে নির্বাচনী আমেজ। তৃতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে নতুন রূপে সেজেছে উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়ন। পোস্টার আর ব্যানার বদলে দিয়েছে সরাইলের চিরচেনা রূপ।
উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে, মোড়ে, হাট-বাজারে প্রার্থীদের ছবিসংবলিত পোস্টার শোভা পাচ্ছে। রাত পোহালেই বিভিন্ন গান-বাজনার মাধ্যমে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীর সমর্থকেরা। দীর্ঘদিন পর এমন উৎসবমুখর পরিবেশ ফিরে আসায় স্বস্তি ফিরেছে ভোটারদের মধ্যে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গত ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পরপরই পুরোদমে শুরু করেছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণা। নির্বাচন ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলোর তৃণমূল নেতা-কর্মী ও ভোটারদের মধ্যেও বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। রাস্তাঘাট, হাটবাজার ও অলিগলিতে নির্বাচনী প্রার্থীদের পোস্টার আর ব্যানারে ছেয়ে গেছে পুরো সরাইল এলাকার জনপথ। প্রার্থীদের চলছে উঠান বৈঠক, আলোচনা সভা, গণসংযোগ ও মাইকিং।
এ ছাড়া নির্বাচনী প্রচারণায় চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পাশাপাশি পিছিয়ে নেই সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীরাও। তাঁরাও ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট ও দোয়া প্রার্থনা করছেন।
কাকডাকা ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত প্রার্থীরা ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। দিয়ে যাচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। চায়ের স্টল থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লায় চলছে প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
আর এ নির্বাচন সামনে রেখে ভোটারদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ। এ অবস্থায় সাধারণ ভোটারদের চাওয়া সব ধরনের সংঘাত এড়িয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট।
সাধারণ ভোটাররা জানান, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন এবং গরিব-দুঃখী মানুষের পাশে থাকবেন তাঁকেই ভোট দেওয়ার কথা ভাবছে সবাই।
এদিকে, নির্বাচনে জয়ী হতে প্রার্থীরাও দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। আওয়ামী লীগ থেকে মনোনীত উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট শফিকুল ইসলাম বলেন, আপনারা আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে অরুয়াইল এলাকাকে একটি মডেল ইউনিয়নে রূপ দেব ইনশা আল্লাহ।
জাতীয় পার্টি মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, অবাধ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন হলে লাঙ্গলের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।
স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজি আব্দুর রউফ বলেন, ভোটারদের কাছে যাচ্ছি, বেশ সাড়া পাচ্ছি। নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।