শাল্লা উপজেলার ১০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ থেকে ১২ বছর বয়সী এক দল খুদে চিকিৎসক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। সকাল ১০টায় আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস। শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যসেবা সম্পর্কে সচেতন করতে চলে এ কার্যক্রম।
জানা যায়, ওই বিদ্যালয়ের পাঁচ থেকে বারো বছরের শিক্ষার্থীরা চিকিৎসক সেজে সেবা দেয়। তারা ‘রোগীদের’ নাম তালিকাভুক্ত, ওজন মাপা, ক্রিমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোসহ নানা কাজ করে।
আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী প্রমা রানী রায় ও তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র নিউটন দাস জানায়, নতুন কার্যক্রমে তারা আনন্দিত। ভবিষ্যতে চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন এখনই তাদের মধ্যে দানা বাঁধছে।
এ বিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষার্থীরা জানায়, তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির তুলনামূলকভাবে চটপটে এবং বাকপটু শিক্ষার্থীদের ‘খুদে চিকিৎসক’ বানাতে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। প্রতি শ্রেণি বা সেকশনের জন্য তিনজনের একটি দল হিসেবে ১৫ শিক্ষার্থীর দল বিদ্যালয়ে কাজ করছে। চিকিৎসকদের তিনজন মিলে একেকটি দল একজন করে গাইড শিক্ষক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস বলেন, শিশুদের স্বাস্থ্য সচেতন করে তুলতে এ কার্যক্রম খুবই ফলপ্রদ। পাশাপাশি রোগজীবাণু সম্পর্কে ধারণা ও ব্যক্তিগত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা শিক্ষা পাচ্ছে তারা।