শরীয়তপুর–চাঁদপুর মহাসড়ক দীর্ঘদিন সংস্কারে অভাবে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ভেদরগঞ্জ উপজেলার টেকের বাজার মোড়ে বাস-ট্রাকের তীব্র যানজট লেগেই থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারী ও স্থানীয়রা।
রাস্তাটি দুই বছর আগে সংস্কার করা হয়েছিল। এখন খানাখন্দে ভরে গেছে। এতে প্রায়ই ভোগান্তিসহ যাত্রীবাহী ও মালবাহী যান উল্টে খাদে পড়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে। বাণিজ্যিক কার্যক্রমে ক্ষুদ্র, বড় ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের পণ্য আনা-নেওয়ায় গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়াও।
সড়ক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০০১ সালে শরীয়তপুর-চাঁদপুর ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে শরীয়তপুর জেলার ওপর দিয়ে শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক নামে এ সড়কটি চালু করা হয়। এটি চালু হওয়ায় এসব জেলাতে সড়কপথে এক অঞ্চল থেকে অপর অঞ্চলের সঙ্গে যাতায়াত করতে স্থানভেদে দূরত্ব হ্রাস পেয়েছে ১৫০-২২০ কিলোমিটার পর্যন্ত। সড়কটি সর্বশেষ ২০১৩-১৪ অর্থবছরে সংস্কার করানো হয়েছিল।
খুলনা-চট্টগ্রামগামী রাস্তায় চলাচলকারী বাসের চালক মোতালেব মোড়ল বলেন, ‘সড়কটি এতই খারাপ হয়ে পড়েছে যে, এক দিন গাড়ি চালালে দুই দিন বিশ্রামে থাকতে হয়। এ পথে সবসময় যানজট লেগেই থাকে। তাই আগের মতো যাত্রী পাওয়া যায় না।’
বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আবুকালাম ব্যাপারী বলেন, ‘আমাদের মালামাল আসে ঢাকা, বরিশালসহ বিভিন্ন জেলা থেকে। রাস্তা ভাঙা, সঙ্গে তীব্র যানজট, তাই চালকেরা আসতে রাজি হন না। তখন অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে আমাদের পণ্য আনতে হয়। সড়কটি ঠিক করলে ভালো হতো।’
বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাজন হাওলাদার বলেন, ‘রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে ভরা। বৃষ্টি হলেই যানজট সৃষ্টি হয়। এতে লোকজন চরম ভোগান্তিতে পড়ে ও ব্যবসায়ীদের লোকসানের শিকার হতে হয়। তাই দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করার দাবি জানাচ্ছি।’
ভেদরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক আনিছুর রহমান বলেন, ‘ভেদরগঞ্জ এরিয়া থেকে ফেরিঘাটের আগ পর্যন্ত পুলিশের কোনো ট্রাফিক চেকপোস্ট নেই। তাই আমাদের থানা-পুলিশের পক্ষ থেকে আমরা যথার্থ চেষ্টা করে যাচ্ছি যানজট কমিয়ে আনার। তবে রাস্তাটির কিছু অংশে ভেঙে হওয়ায় প্রায় যানজট সৃষ্টি হয়।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে শরীয়তপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রেদওয়ানুল বলেন, ‘নতুন করে আমাদের শরীয়তপুর-চাঁদপুর চার লেন মহাসড়ক সংস্কারের কাজ চলমান রয়েছে। তাই এই সড়কটির কোনো বরাদ্দ হয়নি। এবং তিন বছর মেয়াদি উন্নয়নের সীমিত বরাদ্দ আসছে। ইতিমধ্যে আমাদের সংস্কারকাজ করার অর্ডার হয়ে গেছে, আমরা দ্রুত কাজ করে ফেলব।’