হোম > ছাপা সংস্করণ

নামের মিল থাকায় চার মাস ১০ দিন কারাবাস

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে নামের মিল থাকায় জাসেদুল হক নামের এক ব্যক্তি চার মাস ১০ দিন ধরে কারাবাস করেন। গতকাল রোববার সকালে অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে জাসেদুল হককে হাজির করা হলে বিষয়টি জানাজানি হয়। আদালতের পেশকার ওমর ফুয়াদ আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ওমর ফুয়াদ বলেন, আদালত জাসেদুল হকের জবানবন্দি গ্রহণসহ মামলার বিভিন্ন নথিপত্র পর্যালোচনা ও পরীক্ষা করে দেখেছেন। পরে দেখেন তিনি প্রকৃত আসামি নন। পরে বিচারক এ বিষয়ে নির্দেশনার জন্য হাইকোর্টের কাগজপত্র পাঠানোর আদেশ দেন। কারণ এ বিষয় নিয়ে একটি মামলা হাইকোর্টে ঝুলে রয়েছে।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে নগরের পাহাড়তলী থানার পশ্চিম নাসিরাবাদ হালিশহর রোডের সামনে ১৫০টি ইয়াবাসহ জাসেদুল হক নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় একটি মামলা হয়।

ওই আসামি ২০১১ সালের ২ মার্চ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে যান। তিনি দুই মাস এক দিন কারাভোগের পর চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে ২০১১ সালের ৩ মে জামিন নেন। ২০১২ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকে পলাতক ছিলেন।

গত ২২ সেপ্টেম্বর অতিরিক্ত চতুর্থ মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে মাদকের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন জাসেদুল হককে। এ মামলায় পরে সাজা পরোয়ানা জারি করা হয়।

জাসেদুলের ছোট ভাই সাজেদুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গত ২১ ফেব্রুয়ারি সাজেদুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তিনি কোনো আসামি নন। ২০১১ সালে মাদক মামলার এক আসামি আমার ভাইয়ের নাম-ঠিকানা ব্যবহার করেছিল। এ বিষয়ে গত ২০ জুন আমরা উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দাখিল করি। পরে হাইকোর্ট তাঁকে ছয় মাসের জামিন আদেশ দেন। বিষয়টি চট্টগ্রাম আদালতের নজরে আনা হয়। গতকাল আমার ভাইকে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হয়।’

সাজেদুল আরও বলেন, ‘আমার ভাই সাজেদুল ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সাত বছর প্রবাসে থাকার পর দেশে ফেরেন। দেশে ফিরে তিনি নিজে দোকান দিয়েছেন ও কয়েকটি বাগান দেখছিলেন। পরে হঠাৎ তাঁকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় পুলিশ।’

গ্রেপ্তার জাসেদুল কক্সবাজার জেলার রামু থানা এলাকার বাসিন্দা।

এর আগে নামের মিল থাকার কারণে প্রকৃত আসামির বদলে নিরীহ ব্যক্তির জেল খাটার বিষয়টি গত ২৮ জুন কক্সবাজার কারাগারের জেল সুপার মো. নেছার আলমকে জানানো হয়।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ