ম্যাচটা দুই দলের জন্য খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। কিন্তু ম্যাচে যে লিওনেল মেসি ও কিলিয়ান এমবাপ্পে খেলছেন! এ নামগুলো যখন মাঠে নামে, কোনো ম্যাচই আর গুরুত্বহীন থাকে না। গত মঙ্গলবার রাতেও তেমনটাই দেখা গেল।
চ্যাম্পিয়নস লিগের আপাত গুরুত্বহীন ম্যাচে সব আলো নিজেদের দিকে টেনে নিলেন মেসি ও এমবাপ্পে। এ দুজনের জ্বলে ওঠার রাতে ক্লাব ব্রুগার বিপক্ষে প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি) জিতেছে ৪-১ গোলে। তবে মেসিদের জয়ের রাতে লাইপজিগের বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরেছে ম্যানচেস্টার সিটি।
প্যারিসে থিতু হওয়ার আগেই ২ গোল হজম করে বসে ব্রুগা। ম্যাচের ২ ও ৭ মিনিটে গোল দুটি আসে এমবাপ্পের কাছ থেকে। ৩৮ মিনিটে চোখধাঁধানো এক গোলে ব্যবধান ৩-০ করেন মেসি। বিরতির পর ৭৬ মিনিটে পেনাল্টি গোলে ব্যবধান ৪-০ করেন মেসি। এর আগে ৬৮ মিনিটে এক গোল শোধ করে ব্রুগা।
এই ম্যাচ দিয়ে নতুন এক কীর্তি গড়েছেন মেসি। গোলের হিসেবে ছাড়িয়ে গেছেন ফুটবল কিংবদন্তি পেলেকে। ক্যারিয়ারে পেলের গোলসংখ্যা ৭৫৬টি। নিজের প্রথম গোল করে সেই পেলেকেও এবার পেছনে ফেললেন মেসি। মেসির মতো এই ম্যাচ দিয়ে নতুন মাইলফলক স্পর্শ করেছেন এমবাপ্পেও। চ্যাম্পিয়নস লিগে সবচেয়ে কম বয়সে (২২ বছর ৩৫২ দিনে) ৩০ গোল করার নতুন রেকর্ড গড়েছেন এই ফরাসি তারকা।
মেসি-এমবাপ্পের রাতে মৃত্যুকূপ থেকে নকআউটে গেছে আতলেতিকো মাদ্রিদ। পোর্তোর মাঠে বাঁচা-মরার লড়াইয়ে শুরুতেই ধাক্কা খায় দিয়েগো সিমিওনের দল। চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন সুয়ারেজ। দলের সেরা স্ট্রাইকারকে হারিয়ে চাপে পড়ে অতিথিরা। তবে বিরতির পর ৫৬ মিনিটে লক্ষ্যভেদ করে দলকে উদ্ধার করেন আতোয়াঁ গ্রিজমান। এরপর ম্যাচে ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ৬৭ থেকে ৭৫ মিনিটের মধ্যে লাল কার্ড দেখেছেন দুই দলের তিন খেলোয়াড়। এরপরও সমতা ফিরিয়ে নকআউটে যাওয়ার সুযোগ ছিল পোর্তোর। তবে ৯০ ও ৯২ মিনিটে পরপর দুই গোল করে পোর্তোর ফেরার রাস্তা বন্ধ করে দেয় আতলেতিকো। শেষ দিকে এক গোল করে ব্যবধান কমালেও সেটা পোর্তোর বিদায় ঠেকাতে পারেনি। এই গ্রুপের অন্য ম্যাচে জিততে পারলে নকআউটে যাওয়ার সুযোগ ছিল এসি মিলানের। শুরুতে এগিয়েও গিয়েছিল মিলান। তবে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে লিভারপুল ম্যাচ জিতে নেয় ২-১ গোলে।
একই রাতের অন্য ম্যাচে ইন্টার মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ। এই জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের পর্বে গেল লস ব্লাঙ্কোসরা।