যশোরের স্ক্যান হাসপাতালে নাজমা নামের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর সিজারের সময় খাদ্যনালি ছিদ্র করে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও চিকিৎসকের বিরুদ্ধে যশোর কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ওই নারীর পরিবার।
পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। বর্তমানে ওই নারী মুমূর্ষু অবস্থায় খুলনার একটি বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।
অভিযোগে আসামি করা হয়েছে স্ক্যান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, হাসপাতালের চিকিৎসক মাহাফুজা মনির ও অহিদুজ্জামান আজাদ, তাঁদের সহকারী জুলফিকার আলী ও দিপুকে।
নাজমার ভাই মো. রনি বাদী হয়ে অভিযোগটি দায়ের করেছেন। নাজমা খাতুন যশোর শহরের খালধার রোড এলাকার হারুন অর রশীদের মেয়ে।
অভিযোগে মো. রনি উল্লেখ করেছেন, গত ৭ জানুয়ারি নাজমা খাতুনকে শহরের স্ক্যান হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পর দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, সিজার করা না হলে মা ও বাচ্চার ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাঁদের কথা অনুযায়ী আমরা সিজার করতে রাজি হই।
লিখিত অভিযোগে আরও বলা হয়, ৮ জানুয়ারি সকালে নাজমার সিজার করা হয়। নবজাতক শিশুটি সুস্থ থাকলেও গুরুতর অসুস্থ ছিলেন নাজমা খাতুন। এ অবস্থায় ওই রাতেই মা ও বাচ্চাকে ছাড়পত্র দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাসায় নেওয়ার পর নাজমা খাতুনের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। এ অবস্থায় তাঁকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে ৮ দিন অতিবাহিত হলেও নাজমার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি, বরং আরও অবনতি ঘটেছে।
অভিযোগে মো. রনি আরও উল্লেখ করেন, বোনের অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় আমরা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রকৃত কারণ জানার জন্য চাপ দেই। পরে তাঁরা স্বীকার করেন, সিজারের সময় নাজমার খাদ্যনালি ছিদ্র হয়ে গেছে। পরে আমরা অন্যান্য স্বজনদের সঙ্গে আলাপ করে ১৭ জানুয়ারি খুলনার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নাজমা খাতুনকে স্থানান্তর করি।
মো. রনি খুলনার চিকিৎসকদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, নাজমা খাতুনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর খাদ্যনালী ছিদ্র হয়ে যাওয়ায় এবং ঠিক সময়ে চিকিৎসা না পাওয়ায় তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। তা ছাড়া চিকিৎসাও অনেক ব্যয়বহুল।
যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। ইতিমধ্যে ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে।’