হোম > ছাপা সংস্করণ

নকল ধরতে হয় হাতেনাতে

সরদার ফজলুল করিম

কেউ নকল করলে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন শিক্ষকেরা। তারপর সেই নকলবাজের কী যে বিড়ম্বনা হয়। কিন্তু কখনো কখনো নকল করতে দেখেও অনেকে কিছু বলতে পারেন না। কেন পারেন না? তারই একটা নমুনা দেখা গেল প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের বয়ানে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তখন শিক্ষক তিনি। পরীক্ষার আইনকানুন তখন খুব মেনে চলা হলো। কাউকে ইচ্ছে করে পাস বা ফেল করিয়ে দেওয়া হতো না। 

একদিন কোনো এক পরীক্ষার পর এক তরুণ শিক্ষক এলেন প্রফেসর আব্দুর রাজ্জাকের কাছে। তারপর একজন ছাত্রের নাম করে বললেন, ‘স্যার, ছেলেটা পরীক্ষার খাতায় নকল করেছে।’

আব্দুর রাজ্জাক বললেন, ‘তুমি কী করে জানলে বাবা?’

তরুণ শিক্ষক বললেন, ‘আমি সেদিন ইনভিজিলেটর ছিলাম।’

খুবই অবাক হয়ে আব্দুর রাজ্জাক বললেন, ‘তুমি ইনভিজিলেটর ছিলে, তাহলে কেন তুমি সেদিন রিপোর্ট করোনি?’

তরুণ শিক্ষক বললেন, ‘স্যার, ছেলেটা এনএসএফ করে।’ 

এর মানে হলো, তরুণ শিক্ষক ভয়ে রিপোর্ট করেননি। এনএসএফ তখন সরকারি ছাত্রদল। তাদের কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে পরীক্ষার সময় ব্যবস্থা নেওয়ার সাহস হয়নি শিক্ষকের। কিন্তু এখন কিসের ভিত্তিতে ছেলেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে? 

এ বড় কঠিন প্রশ্ন। 

আব্দুর রাজ্জাক বললেন, ‘তুমি তখন রিপোর্ট করো নাই, আমি এখন কী করব? তার খাতায় যা লেখা আছে, সেটা বাদ দিয়ে আমি খাতায় নম্বর কমিয়ে দেব? এটা তো করা যায় না।’

তরুণ শিক্ষক বুঝতে পারছিলেন না, কেন সেটা করা যায় না। আসলে খাতায় যা লেখা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই কেউ নম্বর পায়। যদি সত্যিই অসততার আশ্রয় নেয় কেউ, তাহলে হাতেনাতেই তাকে ধরতে হবে। ভয়ে পিছিয়ে গেলে চলবে না। তাই পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর খাতায় যা লেখা হয়েছে, তা এড়িয়ে কাউকে নম্বর কমিয়ে দেওয়া যায় না। 

আব্দুর রাজ্জাকের কথা শুনে শিক্ষকটি চুপ করে রইলেন। 

সূত্র: সরদার ফজলুল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ, পৃষ্ঠা ৩০

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ