রংপুর বিভাগের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নকল ও অনুমোদনহীন লাচ্ছা সেমাই, ভোজ্যতেল ও মুড়ি কারখানাকে ৬৭ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জেলা প্রশাসন ও বিএসটিআইয়ের বিভাগীয় কার্যালয়ের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই জরিমানা করা হয়।
বিএসটিআইয়ের রংপুর বিভাগীয় অফিস প্রধান উপপরিচালক (পদার্থ) প্রকৌশলী আব্দুর রশিদ স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পঞ্চগড়ে অভিযান পরিচালনাকালে রাজননগর এলাকার মেসার্স ইসলাম এন্টারপ্রাইজকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি পণ্যের মান সনদ গ্রহণ না করে ভোজ্যতেলের বোতলে অবৈধভাবে মানচিহ্ন ব্যবহার করছিল।
এ ছাড়া তালমা এলাকার লাচ্ছা সেমাই উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান জান্নাত এন্টারপ্রাইজকে ২৫ হাজার ও মেসার্স গ্রাম বাংলার মুড়ির মিলকে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ অভিযান পরিচালনা করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনোয়ার হোসেন ও মো. আব্দুল আল মামুন। আদালতকে সহায়তা করেন বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার (সিএম) মো. মেসবাহ-উল-হাসান ও পরিদর্শক মিঠুন কবিরাজ।
এদিকে গাইবান্ধায় জেলা প্রশাসনের সহায়তায় সদরের বিভিন্ন এলাকায় আরেকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় পণ্যের মান সনদ গ্রহণ না করে লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন ও বিক্রয়-বিতরণ করার অপরাধে কুঠিপাড়া এলাকার মেসার্স নিউ বিসমিল্লাহ ফুড অ্যান্ড চানাচুর প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড দেওয়া হয়। আর প্যাকেট ও লেবেল ছাড়া লাচ্ছা সেমাই উৎপাদন করার অপরাধে আসাদুলের লাচ্ছা সেমাই ফ্যাক্টরিকে ভোক্তা অধিকার অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৫ হাজার টাকা জরিমানা জরিমানা করা হয়।
অভিযান পরিচালনা করেন গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম ফয়েজ উদ্দিন ও মো. রেজাউল ইসলাম। আদালতকে সহায়তা করেন বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের ফিল্ড অফিসার (সিএম) মো. দেলোয়ার হোসেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশের সহায়তায় বিএসটিআইয়ের এমন ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলমান থাকবে।