চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মির্জাপুর ইউনিয়নে প্রবাসী মাহমুদ হোসেন এলাহী ওরফে বাচাকে (৪০) হত্যা ও তাঁর সহোদরকে গুরুতর জখম করার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গত শনিবার মাহমুদের ছোট ভাই মো. মোহসেন এই মামলা দায়ের করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাৎ হোসেন।
পুলিশ জানায়, মাহমুদকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ১৪ জনকে এজাহারভুক্ত এবং ১০ থেকে ১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। হত্যা মামলার আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মামলার ১ নম্বর আসামি মো. রাশেদ ও ১২ নম্বর আসামি মো. হারুণ।
এ ছাড়া হত্যার ঘটনার পরপর পুলিশ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসেমকে গ্রেপ্তার করেছিল। তিনি এই হত্যা মামলার দুই নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।
পুলিশ জানায়, আবুল হাসেমকে গত শনিবার এবং অপর দুজনকে গতকাল রোববার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও হাটহাজারী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ চন্দ্র দে বলেন, প্রবাসী হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসেমকে ২০১৬ সালের অন্য একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া গত শুক্রবার কুয়েত প্রবাসীকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখাতে আদালতে আবেদন করা হবে।
মাহমুদের ছোট ভাই মো. মোহসেন অভিযোগ করেন, মির্জাপুর ইউনিয়নের কালা বাদশাপাড়া এলাকায় কালা বাদশাপাড়া জামে মসজিদ ও তালিমুল কোরআন নুরানি মাদ্রাসা পরিচালনা ও সংস্কারকাজের আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে মসজিদ পরিচালনা কমিটির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। আয়-ব্যয়ের হিসাব চাওয়ায় গত শুক্রবার রাতে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আবুল হাসেমের নেতৃত্বে এলাকার রাশেদ, সুমন, কাইয়ুমসহ ১৫-২০ জন প্রথমে ফাঁকা গুলি ছোড়েন। পরে মাহমুদ হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করেন। আর মোহাম্মদ মোমেন এলাহীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে পালিয়ে যান।