সাতক্ষীরার তালা উপজেলায় দাখিল মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে নিয়ে পালানোর অভিযোগ উঠেছে। এদিকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌতুকের মামলা করেছেন তাঁর স্ত্রীর বড় ভাই। গতকাল শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তারের দাবিতে সকাল ১০ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
মানববন্ধনে ওই শিক্ষকের স্ত্রী তানিয়া খাতুনও অংশ নেন। ওই শিক্ষকের নাম খায়রুল ইসলাম। এতে বক্তব্য রাখেন, ইমাদুল মোল্লা, আব্দুল্লা বিশ্বাস রুফকুল মোড়ল, রহমত আলী, আনারুল মোল্লা, আলি জামান মোড়ল প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, তালা উপজেলার একটি দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম (৪০) গত ২১ নভেম্বর ওই ছাত্রীকে ফুসলিয়ে নিয়ে পালিয়ে যান। শিক্ষককের এহেন কর্মকাণ্ডে এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে পরিচালনা পরিষদের সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করে।
বক্তারা আরও বলেন, খায়রুল ইসলাম গত ১০ বছর আগে গড়েরডাঙ্গার মেয়ে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী তামান্না খাতুনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তামান্নার বাবার থেকে অন্তত ২০ লাখ টাকা যৌতুক নেন। এ ছাড়া তিনি তাঁর স্ত্রীকে দুইবার গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে বাধ্য করেন।’
এদিকে খায়রুল ইসলামের বিরুদ্ধে গত ২৫ নভেম্বর সাতক্ষীরা পারিবারিক আদালতে যৌতুকের মামলা করেন স্ত্রী তানিয়ার ভাই আজহারুল ইসলাম।
এ সময় বক্তারা মাদ্রাসা শিক্ষক খায়রুলকে গ্রেপ্তার ও তাঁর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। এ ছাড়া এলাকার সাধারণ মানুষ জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, শিক্ষা অফিসসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওই মাদ্রাসার শিক্ষক খায়রুল ইসলাম ঘটনার পর থেকে
দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে নিয়ে বর্তমানে পলাতক রয়েছেন। তিনি ধানদিয়া ইউনিয়নের ওমরপুর গ্রামের বাসিন্দা।