হোম > ছাপা সংস্করণ

শিবগঞ্জের ১১ ইউপিতে ভোট আগামীকাল

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ভোট। এ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীকে (আয়া) নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে তাঁর নিয়োগ বাতিল করা হয়। অন্যদিকে ব্যক্তি মালিকানায় পরিচালিত স্কুলের শিক্ষকেরা নিজেরাই যোগাযোগ করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকেরাও পেয়েছেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দায়িত্ব।

একটি নিয়োগপত্রে গাংনগর দ্বি-মুখী দাখিল মাদ্রাসা শিক্ষক হিসেবে আব্দুল্লাহ মণ্ডলের নাম থাকলেও, এ প্রতিষ্ঠানে এই নামে কোনো শিক্ষকের হদিস মেলেনি। এ ছাড়া একই পদে চাকরিরত হলেও একজনকে সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও অন্যজনকে পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অনেককে।

উপজেলার মেদিনীপাড়া দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী (আয়া) রোসনি খাতুন পোলিং অফিসার পদে নিয়োগ পেয়েছেন। নিয়োগপত্রে তাঁর পদবিতে আয়ার বদলে দেওয়া আছে জুনিয়র শিক্ষক। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমার ঘটনা জানাজানি হওয়ায় নিয়োগপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন অফিস।’

রহবল উচ্চবিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার ও দেউলী বেগম জহুরা নিম্নমাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে প্রাইভেট শিক্ষককে (খণ্ডকালীন) ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা করা হয়েছে।

গাংনগর দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক শাজাহান আলী বলেন, উপজেলা নির্বাচন অফিসের লোকজন অনিয়মের মধ্যে দিয়ে ২০০-৩০০ টাকা করে নিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন স্কুল থেকে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করেছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আমতলী মডেল স্কুলের (কেজি স্কুল) এক শিক্ষক বলেন, তাঁরা নির্বাচন অফিসে যোগাযোগ করে নিয়োগ পেয়েছেন। আরেক মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক যোগাযোগ করেই পোলিং অফিসারের পরিবর্তে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা হয়েছেন।

উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমাজের সভাপতি ও সহকারী শিক্ষক তাজমিলুর রহমান বলেন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত অনেক শিক্ষককে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ করা না হলেও, নন এমপিও এবং ব্যক্তিমালিকানাধীন নাম সর্বস্ব কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষকদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও উথলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাবিবুল আলম বলেন, উপজেলায় শিক্ষকদের একটি অংশ ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাননি। কোনো কোনো শিক্ষককে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থক হিসেবে চিহ্নিত করে বাদ দিলেও, জামায়াত-বিএনপির স্থানীয় শীর্ষ নেতাসহ নাশকতা মামলার আসামিদেরও নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, স্বচ্ছতার ভিত্তিতেই কাজ করা হচ্ছে। কিছু ক্ষেত্রে অভিযোগ এলে সংশোধনও করা হচ্ছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ