বাবা পরিচালক প্রিয়দর্শন। মালয়ালম সিনেমার কিংবদন্তি এই পরিচালক অসংখ্য বলিউড সিনেমাও পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে ‘হাঙ্গামা’, ‘ভাগাম ভাগ’, ‘ভুল ভুলাইয়া’, ‘হালচাল’, ‘দে ধানা ধান’-এর মতো জনপ্রিয় কমেডি সিনেমার জন্য তাঁর খ্যাতি রয়েছে। মা একসময়ের জনপ্রিয় মালয়ালম অভিনেত্রী লিসি।
বাবার সহকারী বিক্রমের হাত ধরেই কল্যাণী প্রিয়দর্শিনীর নায়িকা হওয়া। প্রথম সিনেমার প্রযোজকও বাবার বন্ধু নাগার্জুন। দক্ষিণী সুপারস্টার নাগার্জুন ছেলে আখিলের বিপরীতে নায়িকা হিসেবে বেছে নেন কল্যাণীকে। তেলুগু সিনেমা ‘হ্যালো’-এর নায়িকা হয়ে অভিষেক কল্যাণীর। প্রথম বছরই সেরা নবাগত হিসেবে ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড জেতেন। উল্লেখযোগ্য সিনেমার তালিকায় রয়েছে ‘চিত্রলাহিরী’, ‘মানাডু’, ‘হৃদয়াম’, ‘ব্রো ড্যাড্ডি’র মতো জনপ্রিয় সিনেমা।
ছোটবেলা থেকেই থিয়েটার করতেন কল্যাণী। নিউইয়র্ক থেকে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেছেন স্থাপত্যবিদ্যায়। সিনেমায় কাজের শুরুটা করেছিলেন সহকারী প্রোডাকশন ডিজাইনার হিসেবে। তখন তিনি স্কুলে পড়েন। বাবার বন্ধু খ্যাতিমান আর্ট ডিরেক্টর সাবু সাইরিলের সহকারী হয়ে সিনেমায় কাজ শুরু করেন কল্যাণী। ‘কৃষ থ্রি’, ‘ইরু মুগান’-এর মতো সিনেমায় সহকারী আর্ট ডিরেক্টর ছিলেন। নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা খুব একটা ছিল না। নাগার্জুন যখন প্রস্তাব দিলেন, তখন বাবা-মা এমনকি কল্যাণীও না করতে পারেননি। তাঁর প্রথম মালয়ালম সিনেমা ‘ভারানে অবশ্যামুন্ড’। সিনেমায় সহশিল্পী হিসেবে পেয়েছেন মামুত্তির ছেলে দুলকার সালমানকে। তারকাসন্তান হওয়ায় একটু বাড়তি সুবিধা পেয়েছেন বৈকি। তবে সেটা কি অন্যায় কিছু! কল্যাণী বলেন, ‘আমার দাদা তো সিনেমার মানুষ ছিলেন না। মা-বাবা সিনেমার মানুষ। এটা তো অপরাধ নয়। ছোটবেলা থেকেই সিনেমা দেখা আমার কাছে পড়াশোনার মতোই একটা কাজ ছিল। আমি যখন স্কুলে পড়ি, তখন থেকেই সাবু আঙ্কেলের সহকারী হিসেবে পোস্ট প্রোডাকশনে কাজ করি। পোস্ট প্রোডাকশনে যাঁরা কাজ করেন, তাঁরা নিশ্চয়ই বোঝেন, এটা কোনো সহজ কাজ না। সেভাবেই আমি সিনেমার মানুষ হয়ে উঠেছি। বিদেশ থেকে পড়ে এসে সোজা নায়িকা হয়ে সেটে চেয়ার পেয়েছি, ব্যাপারটি আমার জন্য এমন নয়।’