চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, চীন শ্রীলঙ্কার ঘটনাপ্রবাহ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যে খেলাপি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতি চীনের জন্যও ভালো হবে কি না, অনেকের প্রশ্ন। কারণ চীনেরও স্বার্থ এখানে জড়িত আছে।
শ্রীলঙ্কায় চলমান পরিস্থিতি কি দিন দিন আরও জটিল হবে, নাকি উত্তরণের কোনো পথ খুঁজে পাওয়া যাবে, তা এই মুহূর্তে বলা মুশকিল। যদিও এই পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপক্ষে রনিল বিক্রমাসিংহেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। যদিও বিরোধী দলগুলো তা মেনে নিতে রাজি নয়। তাদের দাবি, গোতাবায়াকেও গদি ছেড়ে চলে যেতে হবে। তাদের উদ্দেশ্য শ্রীলঙ্কার রাজনীতি থেকে রাজাপক্ষে পরিবারকে চিরতরে বিদায় করা। অপরদিকে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে। জ্বালানি তেলের সংকট দিনের পর দিন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ সংকট যদি আরও তীব্র হয়, তাহলে তাদের পরিবহনব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়বে। ফলে এর প্রভাব গিয়ে পড়বে দেশের খাদ্যসামগ্রী সরবরাহে। ওষুধসহ বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ওপর। অপরদিকে জ্বালানি তেলের পাশাপাশি গ্যাস ও বিদ্যুতের সংকট আরও বাড়বে। সব মিলিয়ে শ্রীলঙ্কা দুর্ভিক্ষের
দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কি না, সে আশঙ্কাও করছেন কোনো কোনো রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ।
ধারণা করা হচ্ছে, আগামী দুই মাস শ্রীলঙ্কাকে সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে এমন আশঙ্কার কথাই বলেছেন জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে। আসন্ন কঠিন সময় মোকাবিলা করার জন্য দেশের জনগণকে প্রস্তুতি নিতেও আহ্বান জানিয়েছেন। এই মুহূর্তে বলা যায় মহাসংকটেই পড়েছে শ্রীলঙ্কা। দেশের আর্থিক অবস্থা উন্নতির জন্য এয়ারলাইনস বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্তও নিচ্ছে তারা। শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের কাছে খাদ্যসামগ্রী দিয়ে তাঁদের দেশকে সাহায্য করার আবেদনও করেছেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধির পর থেকেই বলা যায় শ্রীলঙ্কা চীনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। বর্তমানে চীনের কাছে ব্যাপক মাত্রায় ঋণগ্রস্ত শ্রীলঙ্কা। চীনের এই ঋণের অর্থ আগামী ১০ বছরের মধ্যে শোধ করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে। শুধু অর্থনৈতিক সাহায্য নয়, কৌশলগত কারণেও শ্রীলঙ্কা চীনের ওপর নির্ভরশীল। মাহিন্দা রাজাপক্ষের আমলে প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালীন তামিলদের দমনে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালানোর জন্য শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট গোতাবায়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলা রয়েছে। এ ছাড়া সে সময় সাংবাদিক নির্যাতন ও হত্যা এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের গুম করার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল আদালতে আরও দুটো মামলা আছে। তামিল জনগোষ্ঠীর ওপর চালানো হত্যাকাণ্ডের কারণে জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ থেকে ক্রমাগত রক্ষা করে গেছে চীন। শ্রীলঙ্কার এই নির্ভরশীলতার সুযোগ গ্রহণ করেছে চীন। চীন এত দিন একটি কর্তৃত্ববাদী সরকারকে সমর্থন করে গেছে। চীনের সঙ্গে এরূপ সম্পর্ক রক্ষার কারণে ভারত স্বাভাবিক কারণেই নাখোশ ছিল। বছরের পর বছর শ্রীলঙ্কার সঙ্গে যে গভীর সম্পর্ক ছিল ভারতের; শ্রীলঙ্কার ওপর চীনের প্রভাব বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেই সম্পর্কেরও অবনতি ঘটেছে। তবে বর্তমানে চীনের সঙ্গে শ্রীলঙ্কার শীতল সম্পর্ককে ভারত সুযোগ হিসেবে দেখছে এবং শ্রীলঙ্কার আরও নিকটবর্তী হওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কাও গত দুই বছর ভারতের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছে।
ভারত মহাসাগরে প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে অনেক আগে থেকেই ভারত ও চীনের মধ্যে ইঁদুর লড়াই চলে আসছে। পৃথিবীর ৬০ শতাংশ বাণিজ্যিক জাহাজের চলাচল এই সমুদ্রপথে। চীন, জাপান, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক পণ্য মালাক্কা প্রণালি হয়ে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ইউরোপে সরবরাহের জন্য এই সমুদ্রপথ ব্যবহৃত হয়। চীন ইতিমধ্যে পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। তারা ভারত মহাসাগর অঞ্চলের এশিয়া ও আফ্রিকার বেশ কিছু দেশের গভীর সমুদ্রবন্দর উন্নয়ন ও ব্যবহারের জন্য চুক্তি করে সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবহার শুরু করে দিয়েছে। এগুলো হলো কেনিয়ার মোমবাসা, জিবুতি, পাকিস্তানের গওয়াদার, শ্রীলঙ্কার হাম্বানটোটা ও মিয়ানমারের কয়উপ্পু গভীর সমুদ্রবন্দর।
অপরদিকে চীনের এই কোণঠাসা নীতিতে ভারত ঘরে বসে নেই। নয়াদিল্লি দ্বীপরাষ্ট্র সেশেল, ওমান ও সিঙ্গাপুরের বন্দরগুলো সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য দেশগুলোর সঙ্গে একমত হয়েছে। ভারত ইতিমধ্যে একটি ‘এয়ার স্ট্রিপ’ ও একটি নেভাল জেটি নির্মাণের জন্য সেশেল নামের দেশটির সঙ্গে ২০ বছরের জন্য একটি চুক্তি করেছে। সেশেল রাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা অনেকেই পরিচিত নই। সেশেল কেনিয়ার পূর্বে এবং মাদাগাস্কারের উত্তর-পূর্বে পশ্চিম ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। ১১৫টি ছোট দ্বীপ নিয়ে এ দেশ গঠিত। এর বেশির ভাগ দ্বীপে মানুষের কোনো বসবাস নেই। মাত্র ৪২টি দ্বীপে মোট জনসংখ্যার প্রায় ৯৮ শতাংশের বসবাস এবং এ ৪২টি দ্বীপের মোট ভূমির পরিমাণ ২৪৪ বর্গকিলোমিটার, যা দেশটির মোট আয়তনের ৫৪ শতাংশ মাত্র। জনমানবহীন একটি সম্পূর্ণ দ্বীপ ভারতের সামরিক প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য ছেড়ে দিতে দেশটি ভারতের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। ভারত ওমানের ‘ডকুম সমুদ্রবন্দর’ ব্যবহারের জন্যও অপর একটি চুক্তি করেছে। বন্দরটি ভারত মহাসাগরের উত্তর-পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত এবং এডেন উপসাগরের মধ্য দিয়ে লোহিতসাগরে প্রবেশে সুবিধা করে দেবে। এই চুক্তির আওতায় নৌবাহিনীর লজিস্টিক সরবরাহ ও সহযোগিতার জন্য ভারত বন্দরটি ব্যবহার করতে পারবে। ভারত সিঙ্গাপুরের চেঙ্গি নৌঘাঁটি ব্যবহারের জন্য সে দেশের সঙ্গে অনুরূপ আরেকটি চুক্তি সম্পন্ন করেছে। চেঙ্গি বন্দরটি কৌশলগতভাবে প্রধান আন্তর্জাতিক সমুদ্রপথে অবস্থিত। ফলে মালাক্কা প্রণালি ও আন্দামান সাগরে চীনের বিরুদ্ধে ভারত প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম হবে।
সন্দেহ নেই, গোতাবায়া রাজাপক্ষে চীনের একজন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। উল্লেখ্য, গোতাবায়া প্রতিরক্ষামন্ত্রী থাকাকালে তামিলদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে চীন এককভাবে শ্রীলঙ্কার পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত কৌশলগত বন্দর হাম্বানটোটা। চীন এরই মধ্যে এই বন্দর এবং তদসংলগ্ন ১৫ হাজার একর জমি ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়ে ফেলেছে। এ বন্দরটি চীন মূলত সাবমেরিনসহ সামরিক ও বাণিজ্যিক জাহাজের রিফুয়েলিং ও অন্যান্য প্রয়োজনে ব্যবহার করবে। এ রকম পরিস্থিতিতে চীন-সমর্থক গোতাবায়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে ক্ষমতায় থাকা ভারতের জন্য কিছুটা অস্বস্তিকরও বটে। কাজেই গোতাবায়ার পদত্যাগ ভারতের কাছে অধিক কাম্য। শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে বিভিন্ন দেশ ও সংস্থার কাছে সাহায্য চেয়েছেন, এর মধ্যে ভারত অন্যতম। গত ১৫ বছর যে শ্রীলঙ্কাকে ঘিরে চীন ও ভারতের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক অবস্থান লক্ষ করা গেছে, সেই শ্রীলঙ্কার এই নাজুক সময়ের সুযোগ নিয়ে ভারত দ্বিগুণ উৎসাহে এগিয়ে এসেছে। শ্রীলঙ্কার মোট ৫১ বিলিয়ন ডলার ঋণের মধ্যে ৭ বিলিয়ন ডলার এ বছরই পরিশোধ করতে হবে। বিশ্বব্যাংক ৬০০ মিলিয়ন ডলার সাহায্য দিতে রাজি হয়েছে। ভারত ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্য দিতে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য আমদানির জন্য আরও ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে বলে বলেছে। ইতিমধ্যে তারা ৬৫ হাজার টন সার ও ৪ লাখ টন জ্বালানি পাঠিয়েছে। মে মাসের মধ্যেই আরও জ্বালানি পাঠানোর কথা আছে। এ ছাড়া ত্রিনকোমালিতে ১০০ মেগাওয়াটের একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রও নির্মাণ করে দেবে। কিন্তু ভারতের সাহায্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। শ্রীলঙ্কার কিছু কিছু রাজনৈতিক দল ও নেতা ভারতের মুখাপেক্ষী হলেও শ্রীলঙ্কার সাধারণ মানুষ ভারতকে কখনো ভালো বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করতে পারেনি। দীর্ঘমেয়াদি গৃহযুদ্ধ, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা, বিভিন্ন সময়ে সংঘটিত সন্ত্রাসী কার্যকলাপে ভারতের পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষ সম্পৃক্ততা আছে বলে শ্রীলঙ্কার মানুষ মনে করে।
সাধারণ জনগণ থেকে রাজনৈতিক নেতারা মনে করেন, ভারতের সাহায্য করার এই উদ্যোগের পেছনে কোনো না কোনো মতলব কাজ করছে। তাদের এই ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি শ্রীলঙ্কার সার্বভৌমত্বকে আরও দুর্বল করে দেবে। শ্রীলঙ্কার এই সংকটকে ভারত তাদের নিজেদের স্বার্থে কাজে লাগাচ্ছে। ভারত অর্থ সাহায্য থেকে শুরু করে খাদ্য, ওষুধ এবং জ্বালানি—যা কিছু দিয়েই সাহায্য করুক না কেন, সেগুলো বন্ধু হিসেবে দেয়নি, এখানে তাদের রাজনৈতিক কোনো গোপন অ্যাজেন্ডা আছে। তাদের মতে, চীনের কাছে যে পরিমাণ ঋণ আছে তা পরিশোধের কিস্তির তারিখ ও হার পুনর্গঠন করা যেতে পারে। এ বিষয়ে চীনের সঙ্গে বসে আলোচনা হতে পারে। এখন যে অর্থসহ অন্যান্য সাহায্য ভারত থেকে আসছে, তা নিয়ে ভবিষ্যতে ভারতের সঙ্গেও যে এমন সমস্যার সৃষ্টি হবে না, তা কে জানে? তাদের প্রশ্ন, তাহলে কাকে বিশ্বাস করা উচিত, চীন না ভারতকে? এ প্রসঙ্গে ভারতে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার সাবেক হাইকমিশনার অস্টিন ফার্নান্দো মনে করেন, ‘শ্রীলঙ্কাকে কি চীনের মুখোমুখি অবস্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে? যদি তা-ই হয়, তাহলে অন্য নেতিবাচক পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। দেখতে হবে এর পেছনে কোন শক্তি কাজ করছে? আমাদের এমন সম্ভাব্য পরিণতি এড়িয়ে যাওয়া উচিত।’
এমন পরিস্থিতিতে চীনের নীরব ভূমিকা ভাবিয়ে তুলেছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, চীন শ্রীলঙ্কার ঘটনাপ্রবাহ ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। শ্রীলঙ্কা ইতিমধ্যে খেলাপি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতি চীনের জন্যও ভালো হবে কি না, অনেকের প্রশ্ন। কারণ চীনেরও স্বার্থ এখানে জড়িত আছে। চীন দ্বীপরাষ্ট্রিতে তার অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা করবে। দেশটিতে তারা বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করেছে। তারা চাইছে শ্রীলঙ্কা যেকোনো সোর্স থেকে অর্থ সাহায্য পাক, তাতে তাদের অংশ বুঝে পেতে সুবিধা হবে। শোনা গিয়েছিল চীন হয়তো আড়াই বিলিয়ন ডলার সহায়তা দেবে। প্রশ্ন হচ্ছে, শ্রীলঙ্কা কি চীন থেকে পুনরায় অর্থসহায়তা নিয়ে আরও গভীর সংকট ডেকে আনবে? কারণ এই অর্থ চীন নিশ্চয়ই সহজ শর্তে দেবে না। অপরদিকে চীনও কি চাইবে পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে শ্রীলঙ্কায় ভারত প্রভাব বিস্তার করুক। ভারত অদূর ভবিষ্যতে তাদের মনোনীত কোনো ব্যক্তিকে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়ে শ্রীলঙ্কায় চীনের স্বার্থহানি করুক? চীন নিশ্চয়ই তা চাইবে না। এই সবকিছু মিলিয়েই এখন দেখার বিষয়, শ্রীলঙ্কার এই মহাসংকটে ভারতের বর্তমান ভূমিকার পরিপ্রেক্ষিতে চীন কী পদক্ষেপ নেয়।
এ কে এম শামসুদ্দিন, অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ও কলামিস্ট