হোম > ছাপা সংস্করণ

ছয় হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা

কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের ফলে গত ২ দিনের অবিরাম বৃষ্টিতে নড়াইলের কালিয়ায় প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমির রবি শস্য ক্ষতির মুখে পড়েছে। পাশাপাশি প্রায় ৬৫০ হেক্টর জমির বোরো ধানের বীজতলা আংশিক নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি বিভাগের তথ্যমতে ইতিমধ্যে ১৫৭ হেক্টর জমির ফসল ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে রবি ফসল উৎপাদন নিয়ে দুর্ভাবনায় পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কালিয়া উপজেলায় ২৬ হাজার ৪৩৫ হেক্টর আবাদযোগ্য জমি রয়েছে। তার মধ্যে ২৬ হাজার ৩৬২ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন ফসলের চাষ করে থাকেন চাষিরা। আবাদি জমির মধ্যে ১৬ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান, ১০ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান, ৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে পাট, ৩ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে খেসারি, ১ হাজার ৮৮০ হেক্টর জমিতে মসুর, ১ হাজার ৮৭০ হেক্টর জমিতে সরিষা, ১ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজি, ৫৫০ হেক্টর জমিতে আখ, ৫৩০ হেক্টর জমিতে তিল, ৩৯০ হেক্টর জমিতে গম, ৪০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা ও ২০ হেক্টর জমিতে চিনাবাদামের চাষ হয়ে থাকে।

,চলতি বছর উপজেলায় ২ হাজার ৭৫০ হেক্টর জমিতে খেসারি, ১ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে মসুর ডাল, ১ হাজার ৮৫ হেক্টর জমিতে সরিষার চাষ করা হয়েছে। আর বোরো চাষের জন্য ৬৮০ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। এ দিকে সব মিলিয়ে ৫ হাজার ৮৬৫ হেক্টর জমিতে বীজতলাসহ রবি ফসলের চাষ করা হয়েছে। গত শনিবার থেকে শুরু হয়ে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত চলা বৃষ্টিপাতের কারণে নিচু এলাকায় থাকা ওই সব রবি ফসলের জমি ও বীজতলা আংশিকসহ সম্পূর্ণ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা।

কলাবাড়িয়া গ্রামের কৃষক মো. গোলাম শেখসহ অনেকেই বলেন, গত ২ দিনের বৃষ্টিপাতে নিচু এলাকার খেসারি ও মসুরের অনেক জমি পানিতে ডুবে গেছে। সদ্য বীজ বপনকৃত ওই সব ফসলের ব্যাপক ক্ষতিসহ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া যে সব বোরো বীজতলা ও সরিষার জমিতে পানি জমেছে সে সব জমির সরিষা ও বীজতলা সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে বলে দাবি করেন তাঁরা।

আহমেদ আলী নামের আরেক কৃষক বলেন, ‘দুই বিঘা জমিতে মসুর বুনেছিলাম। দুই দিনের বৃষ্টিতে সব পানিতে ডুবে গেছে। অন্য আরেক খন্ড জমিতে সরিষা বুনেছিলাম। সরিষার ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু সব শেষ। এক দুদিনের মধ্যে পানি না শুকালে দুটি ফসলই পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যাবে।’

স্থানীয় চেয়ারম্যান বলেন, ‘তিন দিনের বৃষ্টিতে আমার এলাকার অনেক জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে প্রণোদনার ব্যবস্থা না করলে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া সম্ভব না।’

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবীর কুমার বিশ্বাস বলেছেন, উপজেলার ১৭৭ হেক্টর জমির বোরো বীজতলা ও রবি ফসলের আংশিক ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলে নিচু জমিতে আবাদকৃত রবি ফসলসহ বীজতলা আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ