মহামারির এই সময়ে ক্রিকেটারদের সুরক্ষায় যুক্ত হয়েছে নানা নতুন বিষয়। সিরিজ-টুর্নামেন্ট শুরুর বেশ আগেই ক্রিকেটারদের ঢুকে যেতে হয় হোটেলের বায়ো–বাবল বা জৈব সুরক্ষাবলয়ে। এরপর রুম কোয়ারেন্টিনের ধকল। এই সময়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করা দূরে থাক, সতীর্থদের পাশাপাশি যাওয়ার সুযোগও থাকে না।
‘একাকী’ থাকার এই সময়ে ক্রিকেটারদের মানসিক অবসাদের বিষয়টি সামনে আসছে বারবার। ইংলিশ তারকা অলরাউন্ডার বেন স্টোকস তো অবসাদ থেকে বাঁচতে ক্রিকেট থেকেই আপাতত দূরে থাকছেন। বাংলাদেশ দলের সবচেয়ে নবীন সদস্য শামীম হোসেন পাটোয়ারীও এই কদিনে বুঝেছেন, বায়ো-বাবলের সময়টা কতটা কঠিন। গতকাল মিরপুরে শামীম সাংবাদিকদের বললেন, ‘আসলে বায়ো-বাবলের সময়টা অনেক বিরক্তিকর লাগে। খেলাতেও একটু সমস্যা হয়।’
জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজে শামীমের অভিষেক। দুই মাস যেতে না-যেতেই সুযোগ পেলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের স্কোয়াডেও। সুযোগটা দারুণভাবেই রাঙাতে চান ২০ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার। বাকিটা শোনা যাক শামীমের মুখ থেকেই, ‘যেহেতু বিশ্বকাপ দলে সুযোগ পেয়েছি। সবারই আশা থাকে দেশকে ভালো কিছু দেওয়ার।’
বিশ্বকাপ জেতার সুগন্ধি গায়ে নিয়েই শামীম-শরিফুল ইসলাম যাচ্ছেন আরেকটি বিশ্বকাপে। অবশ্য আগেরটি ছিল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। তবে সেই সাফল্যকে পুঁজি হিসেবেই এবার বড়দের বিশ্বকাপে কাজে লাগাতে চান শামীম, ‘আমরা একটা বিশ্বকাপ জিতেছি। অবশ্য দুই বিশ্বকাপের মধ্যে পার্থক্য আছে। তবে ওখানেও (অনূর্ধ্ব-১৯) দেশের জন্য খেলেছি। এখানেও দেশের জন্য খেলছি।’