নাটোরের বড়াইগ্রামে ভাগ্যবদলের আশায় অন্যের জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন তিন যুবক। মুহূর্তে তাঁদের সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে। গত রোববার
রাতে জোনাইল ইউনিয়নের বর্ণী গ্রামে তাঁদের পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে গতকাল সোমবার বড়াইগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। ওই তিন যুবকের নাম রফিকুল ইসলাম, আশিকুর রহমান ও জসিম উদ্দিন। তাঁরা ওই গ্রামের বাসিন্দা।
রফিকুল ইসলাম বলেন, তিন মাস আগে বর্ণী গ্রামের আব্দুল আওয়ালের ছয় বিঘার পুকুর ছয় লাখ টাকায় ইজারা নিয়ে তিনজন মিলে মাছ চাষ শুরু করেন। পুকুরে রুই, কাতলা, সিলভার কার্পসহ ১০ থেকে ১২ প্রজাতির দেড় লাখ টাকার মাছ ছাড়া হয়। সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লাখ টাকা খরচ হয়। তিনি আরও বলেন, গতকাল সকালে মাছ মরে যাওয়ার খবর পেয়ে তিনি পুকুরপাড়ে যান। পরে সেখানে গিয়ে কাগজে মোড়ানো কীট নিধনের ওষুধ দেখতে পান তিনি।
পুকুরের মালিক আব্দুল আওয়াল বলেন, একই গ্রামের আব্দুর রহিম এই পুকুর ইজারা নিতে চেয়েছিলেন। তিনি তাঁকে ইজারা না দেওয়ায় হুমকি দিয়েছিলেন। তাঁর ধারণা, তিনি এই কাজ করেছেন।
ভাগ্যবদলের আশায় অন্যের জমি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করেছিলেন তিন যুবক। মুহূর্তে তাঁদের সেই স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
গত রোববার রাতে জোনাইল ইউনিয়নের বর্ণী গ্রামে তাঁদের পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে।
তবে আব্দুর রহিম এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই পুকুর লিজ নিয়ে আব্দুল আওয়ালের সঙ্গে তাঁর মামলা আছে। তাই তাঁকে সন্দেহ করা হচ্ছে। কিন্তু এ ধরনের কোনো কাজ তিনি করেননি।
বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক আবু সিদ্দিক বলেন, মাছ নিধনের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।