পানির সংকটে বিপাকে ফরিদপুরের পাটচাষিরা। কাটা পাট জাগ দিতে পারছেন না তাঁরা। অনেকে আবার জাগ দিতে না পারায় কাটছেন না। এতে খেতেই শুকিয়ে যাচ্ছে পাট।
এদিকে অনেকে বাধ্য হয়ে কাটা পাট অপরিষ্কার পানিতে জাগ দিচ্ছেন। এতে পাটের আশের রং কালচে হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। ফলে ভালো দাম না পাওয়ার অভিমত তাঁদের।
জানা গেছে, ফরিদপুরের বোয়ালমারী, নগরকান্দা, সালথা, মধুখালী, ভাঙ্গা উপজেলায় পানির সংকটে পাট জাগ দিতে পারছেন না কৃষক। ফলে অনেকে পাট কেটে জমিতে ফেলে রেখেছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে অপরিষ্কার পানিতে জাগ দিচ্ছেন। তবে পানি পরিষ্কার না হওয়ায় পাটের আশের রং কালচে হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। এতে কমে যাবে বাজারমূল্য।
নগরকান্দার হিয়াবলদী গ্রামের কৃষক সরোয়ার মাতুব্বর) বলেন, ‘পানির অভাবে বাকি জমির পাট কাটতে পারিনি। দেরিতে কাটায় পাটের পাতা পুড়ে গেছে ও আঁশের রং কালচে হয়ে যাবে। এ পাটের ভালো দাম পাওয়া যাবে না।’
নগরকান্দা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তিলক কুমার ঘোষ বলেন, পানির অভাবে জাগ দিতে না পারায় খেতে প্রায় ৪০ হেক্টর জমির পাট পুড়ে গেছে।
জানা গেছে, চলতি বছরে পাটের আবাদ হয়েছে ৮৫ হাজার ৮৬৫ হেক্টর; যা থেকে কৃষি বিভাগ ২ লাখ ৪০০ মেট্রিক টন পাটের আশা করা হচ্ছে।
ফরিদপুর পাট অধিদপ্তরের উপপরিচালক মরিয়ম বেগম বলেন, ‘পচানোর জন্য ‘রিবন রেটিং পদ্ধতি’ চালু করা হয়। এ পদ্ধতিতে পাটের ছাল আলাদা করে তা পচিয়ে নেওয়া হয়। এতে পানি কম লাগে। তবে কৃষক এ পদ্ধতি গ্রহণ করেননি শ্রমিকের খরচ বেড়ে যায় বলে।