জেলায় ২ লাখ ৮৩ হাজার ৩১২ পরিবার ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্যসামগ্রী পাবে। আজ রোববার থেকে এই পণ্য বিক্রির কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে।
গতকাল শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক আসিব আহসান। তিনি বলেন, রংপুর সিটি করপোরেশন, তিন পৌরসভা ও আট উপজেলার উপকারভোগীরা তালিকায় থাকছেন। এর মধ্যে করোনাকালীন উপকারভোগীর সংখ্যা ৯৮ হাজার এবং ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩১২ জন নতুন।
এই কার্যক্রমে প্রত্যেক পরিবার রোজার আগে ও পরে দুই দফায় দুই কেজি চিনি, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল পাবে। এ ছাড়া রোজার মধ্যে দুই কেজি করে ছোলা পাবে। জেলায় ১৩৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ২২২টি কেন্দ্রে বিক্রির কার্যক্রম চলবে।
জেলা প্রশাসক বলেন, নির্ধারিত মানদণ্ডের (নিম্ন আয়ের মানুষ) ভিত্তিতে উপকারভোগী বাছাইয়ের মাধ্যমে একটি তালিকা প্রণয়ন করে টিসিবির পণ্যসামগ্রী ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে। জেলায় ইতিমধ্যে ৩৫৫ দশমিক ৫৯ মেট্রিক টন করে চিনি, মসুর ডাল ও সয়াবিন তেল ও ছোলা বিক্রি করতে উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট কমিটির মাধ্যমে চলমান রয়েছে।
জেলা প্রশাসক জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের কমিটি উপকারভোগীর তালিকা প্রণয়ন কাজ প্রায় শেষ করেছে। কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে শেষ করতে প্রত্যেক উপজেলায়, সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডে জনপ্রতিনিধির সঙ্গে উপজেলা, জেলা প্রশাসনের টিম কাজ করছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) গোলাম রব্বানী, টিসিবির রংপুর আঞ্চলিক অফিস প্রধান প্রতাপকুমার প্রমুখ।