শিক্ষক, কর্মচারী কিংবা শিক্ষার্থী নেই। পরিষ্কার করা হয়নি মাদ্রাসার মাঠ ও এর আশপাশ। অফিস কক্ষের সামনে বাঁধা রয়েছে গরু। শ্রেণিকক্ষে নেই বেঞ্চ, চেয়ার ও টেবিল। সারা দেশে গত রোববার স্কুল-কলেজ খোলা হয়। কিন্তু সরকারি সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে পাঁচ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে উপজেলার এলেঙ্গা ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসাটি।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে মাদ্রাসায় গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে রঙের কাজ করছেন নওগাঁ থেকে আসা পাঁচজন শ্রমিক। তাঁরা বলেন, রোববার থেকে এখানে রঙের কাজ করছেন। এ সময়ের মধ্যে কোনো শিক্ষক-শিক্ষার্থীর দেখা পাননি। মাদ্রাসা সুপারকে দেখা যায়নি। শুধুমাত্র একদিন সভাপতি পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাঁদের খোঁজ নিতে এসেছিলেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নুরুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদ্রাসা বন্ধ রয়েছে। এখানে কোনো শিক্ষক কিংবা শিক্ষার্থী নেই।
গ্রামের বাসিন্দা ইউনুস আলী বলেন, ‘রোববার দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই মাদ্রাসা খোলা হয়নি। সুপার হাকছেদ আলী ফিরেও তাকান না। পাঠদান না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে।’
গ্রামের আরেক বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, ‘শ্রেণিকক্ষে বেঞ্চ, চেয়ার ও টেবিল নেই। ছাত্র-ছাত্রীরা অনেক আগেই প্রতিষ্ঠান থেকে অন্যত্র চলে গেছে। দীর্ঘদিনেও এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এরই মধ্যে অনেক শিক্ষক পেশা বদল করেছেন।’
মাদ্রাসার সভাপতি মোজাম্মেল হক বলেন, ‘সংস্কারসহ রঙের কাজ চলছে। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটি সময়মতো খোলা সম্ভব হয়নি।’
মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট হাকছেদ আলী বলেন, ‘নন এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান কোনোটাই ভালোভাবে চলে না। আমার মাদ্রাসারও একই অবস্থা।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহ্ আলম সেখ বলেন, ‘সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কেন মাদ্রাসা খোলা হয়নি, তার ব্যাখ্যা চেয়ে সুপারকে পত্র দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, চলতি শিক্ষা বছরে এলেঙ্গা মাদ্রাসার সুপার চার শ্রেণির জন্য ৮০ সেট বইয়ের আবেদন করেছিলেন। চাহিদা অনুযায়ী বই সরবরাহ করা হয়। শিক্ষার্থী না থাকলে ওই বই ফেরত নেওয়া হবে।