অল্প খরচে ভারতে চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে জিম্মি করে মানবদেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিক্রি চক্রের সদস্য বিউটি বেগমকে আটক করেছে র্যাব-৩। গত রোববার আশুলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব-৩-এর সহকারী মিডিয়া কর্মকর্তা এএসপি বীণা রানী জানান, আশুলিয়ায় অভিযান চালিয়ে ওই চক্রের সদস্য বিউটি বেগমকে আটক করে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে চিকিৎসার মেডিকেল ডকুমেন্টস ও পাসপোর্ট উদ্ধার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জামাল মিয়া (ছদ্মনাম) ১০ সেপ্টেম্বর অসুস্থবোধ করলে বিউটির সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেন তাঁর স্ত্রী। বিউটি তাঁদের বাসায় আসতে বলেন। পরের দিন জামাল ও তাঁর স্ত্রী বিউটির বাসায় যান। তখন বিউটি জানান, ভারতে নিয়ে কম টাকায় চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারবেন।
বিউটির আশ্বাসে জামাল ও তাঁর স্ত্রী যশোর হয়ে ভারতে যান। ভারতে পৌঁছালে সেখানে অবস্থানরত চক্রের সদস্য মো. শহীদ (৪৫) ও শেখ ফরিদ (৪২) তাঁদের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যান। চিকিৎসার নামে নানা কৌশলে জামালের কাছ থেকে স্বেচ্ছায় কিডনি দান করার সম্মতিপত্রে স্বাক্ষর নেয় চক্রটি। কয়েক দিন পর জামালকে ভারতের কলকাতার একটি হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলে ভর্তি করা হয়। সেখানে বিভিন্ন সময়ে তাঁর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অপারেশন করতে হবে বলে তাঁকে জানানো হয়। এর কয়েক দিন পর হাসপাতালের একটি কক্ষে জামালকে নিয়ে অজ্ঞান করে অপারেশন করা হয়। অপারেশন শেষে জামালের জ্ঞান ফেরার পর তাঁর পেটের বাঁ পাশে কাটা দেখে ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে তাঁরা জানান, জামাল তাঁর কিডনি স্বেচ্ছায় দান করেছেন।
জামাল চক্রের সদস্যদের কাছে তাঁর কিডনি বিক্রি করার কথা জানতে চাইলে তাঁকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায় এবং গত ২১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেয়।
আটক বিউটি বেগমের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।